অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পরীক্ষার প্রস্তুতি

অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পরীক্ষার প্রস্তুতি 

অডিটর চাকরি বিজ্ঞপ্তি ,  অডিটর পরীক্ষার প্রস্তুতি, জুনিয়র অডিটর পদে পরীক্ষার প্রস্তুতি,  কীভাবে জুনিয়র অডিটর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন।  auditor junior auditor exam preparation


আসসালামু আলাইকুম!  প্রিয় ইনফোবিডি২৬৬ ব্লগবাসী! আশা করি সবাই ভালো আছেন। মূলত এই ব্লগে আমি আমার একান্ত চিন্তা ও মতামত লিখে থাকি। আবার কেউ যদি আমাদের ব্লগে লিখতে চায় তাঁর লেখাও প্রকাশ করা হয়। চাইলে আপনিও এখানে লিখতে পারেন। আজ আমরা আলোচনা করব কীভাবে আপনি অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিবেন। চলুন তাহলে আমরা মূল পর্বে যাই।



অডিটর বা জুনিয়র অডিটর পদে চাকরির সুযোগ সুবিধা


আগে জেনে নেই আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন এই পদের ক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা।

অডিটর বা জুনিয়র অডিটরে সরকারি বেতন স্ক্যাল অনুযায়ী ১২০০০-২২০০০৳ আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৫০০০৳ থেকে ২৫০০০৳।  তবে সাধারণত প্রতিষ্ঠান ভেদে বেসরকারি বেতন কম বেশি হতে পারে।  এছাড়া সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা তো থাকছেই।



অডিটরের কাজ কি


অডিটরের কাজ হচ্ছে কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাবের মূল্যায়ন করা। সে জন্য আপনার থাকতে হবে মানসিক চাপ নেয়ার মত ক্ষমতা। সুক্ষ্ম ও খুটিনাটি বিষয় সমাধানের আগ্রহ। হিসাবে দক্ষতা। কারণ এখানে মূল কাজই হচ্ছে হিসাব করা। সাথে কম্পিউটার এর জ্ঞান থাকা আবশ্যক।  যেমন এক্সেলের ব্যবহার।


অডিটর পদের পরীক্ষার নিয়ম


অন্যান্য সময় দেখা গেছে ৭০-৮০ নাম্বারে একটি এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হয়। আর বাকী ৩০/২০ নাম্বারের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়। তবে প্রার্থী বেশি হলে লিখিত পরীক্ষাও নেয়া হয়। তাহলে নিজেকে এগিয়ে রাখতে তিনভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এমসিকিউ, মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা।



জুনিয়র অডিটর পরীক্ষার নিয়ম 


জুনিয়র অডিটর পদে সাধারণত তিনটি ধাপে পরীক্ষা হয়ে থাকে।  প্রথমে এমসিকিউ ৭০-৮০ নাম্বার, তারপর কম্পিউটার তারপর মৌখিক। তাছাড়া পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্কও থাকতে পারে। যদি প্রশ্নে লেখা না থাকে তাহলে নেই।


অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন


বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে প্রথমে আগের বছরের প্রশ্নগুলো নিয়ে এনালাইসিস করা। সবগুলো প্রশ্ন আগে সমাধান করা। এর ফলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কী ধরনের প্রশ্ন আসে বা আপনাকে কোন কোন টপিকসের উপর জোর দিতে হবে। একটি কথা আছে বিজয়ীরাও একই কাজ করে তবে সেটা ভিন্ন উপায়ে করে। সবাই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিবে কিন্তু আপনি কীভাবে নিলে সফল হবেন সেই পথেই আপনাকে যেতে হবে।


প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্ন বিগত সালেরগুলো আগে সমাধান করুন। তারপর টপিক ভিত্তিক আপনি বিভিন্ন বই থেকে প্রস্তুতি নিন। চাইলে বাজার থেকে একটি গাইড কিনে নিতে পারেন। এটা আপনার সহায়ক হতে পারে। কারণ গাইডগুলো অবশ্যই এনালাইসিস করে তৈরি করা হয়। সেগুলো দেখলে একটু দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।



কোন বিষয়ের প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন


  • বাংলা প্রস্তুতি 


বাংলার জন্য ব্যাকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এর জন্য নবম দশম শ্রেণির ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইটি পড়তে হবে। তবে বিগত সালের  প্রশ্নের ধরণ বুঝে টপিক ভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে। না বুঝে আপনি অনেক টপিক পড়লেন কিন্তু মূল টিপিকগুলো পড়লেন না তাহলে কিন্তু আপনি বিপদে পড়লেন। সাথে সাহিত্যে পাঠ থেকে কিছু টপিক পড়তে হবে। সেটা প্রশ্ন দেখে ধারণা নিলে বেশি উপকৃত হবেন। সাধারণ কিছু দিক নিয়েই সাহিত্য অংশ থেকে প্রতি বছর প্রশ্নগুলো এসে থাকে।


  • ইংরেজি প্রস্তুতি 


ইংরেজির জন্যও আগে আপনাকে বিগত সালের প্রশ্নগুলোর ধারণা নিতে হবে।তার পর বিভিন্ন বই থেকে উক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো পড়ে নিতে হবে। সাহিত্যের ক্ষেত্রে কিছু টার্মস আর বিখ্যাত লেখকদের বই ও সাহিত্য কর্মের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।


  • গণিত প্রস্তুতি 


গণিত এমন একটি সাবজেক্ট যা রেগুলার চর্চা করতে হয়। আপনাকে আগে বিগত সালের প্রশ্নের ধরণ বুঝে নিতে হবে। তারপর টপিক ভিত্তিক দৈনিক ২ ঘন্টা চর্চা করতে হবে। স্ব ক্ষেত্রে আপনি ইউটিউবে ভিডিও লেসন দেখতে পারেন। অনেক চ্যানেল আছে খুব সুন্দর আলোচনা করে।


  • সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতি 


বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক উভয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বিগত সালের প্রশ্নের ধরণ বুঝে নিতে হবে।  সমসাময়িক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।



এভাবে প্রস্তুতি নিলে আশা করি আপনি সফল হবেন ইন শা আল্লাহ।

কোন মন্তব্য নেই

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.