আরবি অনুবাদ শিক্ষা : আরবি অনুবাদ কীভাবে শিখবেন, কীভাবে অনুবাদ করবেন

 আরবি অনুবাদ শিক্ষা : আরবি অনুবাদ কীভাবে শিখবেন, কীভাবে অনুবাদ করবেন

আরবি অনুবাদ শিক্ষা


আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ইনফোবিডি২৬৬ বাসী!  আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আরবি অনুবাদ নিয়ে কথা বলব। অবশ্য আপনাদের এই কথাগুলো জানা বা আমার এমন যোগ্যতা নেই যে আপনাদেরকে শিক্ষা দেব। তারপরেও যা কিছু জানি চেষ্টা করি আমার ব্লগে শেয়ার করতে। হয়ত কেউ কখনো উপকৃত হতে পারেন এমন আশায়।


প্রথম কথা:

আমাদের কাছে একজন প্রশ্ন করেছেন আরবি অনুবাদ করা নিয়ে। যদিও এমন উত্তর দেয়ার যোগ্যতা নেই তারপরেও একটু চেষ্টা কর হয়েছে। 

প্রশ্নটি ছিল

অনুবাদের জন্য কী কী যোগ্যতা লাগে? কীভাবে অনুবাদ করতে হয়? অনুবাদ কর্ম সম্পর্কে ধারণা নিতে চাই। 


উত্তরঃ-

আমার মত গোবেচারা মানুষের জন্য আপনার প্রশ্নটি এমনিতেই জটিল। তার উপর, আপনার আরবির স্কিল কেমন তা আমি জানি না। ফলে, যে কোন একটা লাইন ধরে কিছু বলা আরো মুশকিল হয়ে দেখা দিয়েছে। যা হোক, দুইটা সম্ভবানা ধরে দুইভাবে কিছু কথা বলি। হয়ত আপনার বা অন্য কারো উপকার আসতে পারে। 


প্রথমতঃ-

আপনি আরবি ব্যাকরণের জন্য যা পড়েছেন, স্বাভাবিক কাজ চালানোর জন্য আমার বিশ্বাস যথেষ্ট। এখন দরকার হলো এগুলোকে ফলো করে কাজে লাগানো বা প্রয়োগ করা । তবে সে ক্ষেত্রে হেদায়াতুন্নাহু, আর ইলমুস সারফটি আপনাকে ক্লিয়ার রাখতে হবে, প্রয়োগের মাধ্যমে। বলতে গেলে এটা আপনার জন্য একাডেমিক ফাউন্ডেশন। আর "এসো আরবি শিখি " হলো আরবি ভাষা শেখার ফাউন্ডেশন। এর তিনটি খণ্ড আপনি পড়ে থাকলে, বলা যায়, আপনি ভালো একটা পর্যায়েই আছেন। সুতরাং আমি ধরে নিচ্ছি, আপনি সাধারণ মাসআলা মাসায়েলের কিতাব, ছোটদের জন্য লেখা আরবি বই কিতাব ইত্যিাদি মোটামুটি পড়তে পারেন।

যারা এই ধরনের অবস্থায় আছেন তাদের জন্য মনে হয় দুটো পথ আছে।  


এক নাম্বার হলোঃ-

ছোটদের জন্য লেখা সহজ আরবি রচনা, রম্য গল্প বা ছোট গল্প ইত্যাদির বই বেশি বেশি পড়া। 


দ্বিতীয় নাম্বার  হলোঃ-

একজন আরবিতে অভিজ্ঞ লোকের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধান। একটু একটু অনুবাদ করবেন, তাকে দেখাবেন, তিনি ভুলটুল ধরে নির্দেশনা দিবেন, সেইভাবে ভুল শুধরে নিয়ে সামনে কাজ করে এসে আবার দেখাবেন। এভাবে খুব অল্প দিনে ভাল ফলাফল পাওয়া সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস।  



সাথে আরবি শেখার জন্য নিজে নিজে আরো যে কাজগুলো করতে পারেন তা হচ্ছে। 


আবু তাহের মেসবাহ সাহেবের লেখা “আত-তামরীনুল কিতাবী” বইটি কিনে একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়মিতভাবে অল্প অল্প করে অনুবাদ করুন এবং, অবশ্যই আরবি জানেন এমন কাউকে প্রতিটি অনুবাদ দেখান। এ কাজ করার সময় আপনার হেদায়াতুন্নাহতে পড়া নিয়মগুলো সাথে রাখবেন। অর্থাৎ আমি বুঝাতে চাচ্ছি হেদায়াতুন্নাহকে আরবি ব্যাকরণ এর জন্য আপনার গাইডলাইন হিসেবে নিতে পারেন। অবশ্য যে কোনো পূর্ণাঙ্গ একটি আরবি ব্যাকরণ বই ফলো করতে পারেন হেদায়াতুন্নাহু পড়তে না চাইলে। 


  • ১. ক্বসাসুন্নাবিয়্যিন, 
  • ২. আল-কিরাআতুল ওয়াদিহাহ, 
  • ৩. আল-কিরাআতুর রাশীদাহ,
  • ৪. যাদুত-তালিবীন। 


শেষটি ছাড়া বাকি সবগুলো তিন খণ্ড করে আছে মোট বারোটি বই হচ্ছে । অবশ্য আকারে খুব ছোট ছোট। পারলে সবগুলো কিনে নিন এবং এক এক করে পড়ে নিন। তবে এগুলোর প্রথম খণ্ডটি সহজ। 



বইগুলো কীভাবে পড়লে বেশি উপকৃত হতে পারেন? 


  • ১. প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ডগুলো একবার করে ভালোভাবে পড়ুন। 

  • ২. এখান থেকে অপরিচিত ও কঠিন শব্দগুলো সংগ্রহ করুন এবং নোট করুন। 

  • ৩. অবশ্যই বাক্যে শব্দের ব্যবহার খেয়াল করুন। 

  • ৪. সুন্দর ও জটিল বাক্যগুলো লাল কালি দিয়ে দাগ দিন বা হাইলাইট করে রাখুন।


প্রথম বার পড়ার সময় একটু কঠিন মনে হলেও সহজ হয়ে আসবে ইন শা আল্লাহ , একবার পড়ার পর মনে হবে খুব সহজ বা পারি।  এটা ভেবে পড়া বন্ধ না করে  যথাসম্ভব কিতাবগুলো বার বার পড়ুন। পড়তে ভালো না লাগলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময় নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখতে থাকুন। আপনি হয়তো ভাববেন, অনুবাদের সাথে এসবের সম্পর্ক কী? সম্পর্ক অবশ্যই আছে। এগুলো এভাবে পড়ার পর আপনার ভেতরে আরবির ব্যাপারে একটা শক্তি তৈরী হবে। অনুবাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কথা কেন বলছি?



কারণ অনুবাদ মানে তো শুধু শব্দের তরজমা নয়; ভাষার রূপান্তর। অনেক দিক বা পরিস্থিতি চিন্তা করে অনুবাদ করতে হয়। এই রূপান্তরটা আসে ভাব ও মর্মের সফল অনুধাবনের ভেতর দিয়ে। এ জন্য যে ভাষা থেকে আপনি অনুবাদ করছেন, সে ভাষার বচন ও বাক্যভঙ্গি, উপস্থাপনরীতি, অর্থ ও মর্ম প্রদানে একটা শব্দের বহুগামি অবস্থান, এগুলো জানা খুবই জরুরী। 


 

দুই.

এবার কথা বলব ২য় দিকটি নিয়ে।  চলুন শুরু করা যাক! 


হ্যাঁ আপনি যদি বই-পত্র অনুবাদ করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আমার কথা বলার জায়গাটা আরো সংকুচিত হয়ে আসে। কারণ, আমি তো এসবে তেমন নিজে জড়িত নই। তবুও সাধারণ কিছু ধারণা শেয়ার করছি। হয়ত দেখা যাবে, এগুলোর বেশিরভাগই আপনার জানা কথা, তবুও বলতে চাচ্ছি, কারণ অনেক সময় জানা কথাগুলো যখন আরেক জনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আসে ভিন্নভাবে আসে, তখন তাতে উপস্থিত থাকে ভিন্ন সংবাদ। অথবা অনেক পরিস্থিতিতে অনেক কথা নিজের কাছে নতুন মনে হয়।

 


সত্যি বলতে একসময় আমার কাছে মনে হতো, অনুবাদকর্ম মৌলিক রচনার চেয়ে অনেক সহজ বিষয়। ফলে, অনুবাদকদেরকে তেমন কিছু মনে হতো না। সবচেয়ে লজ্জাজনক কথাটা যদি বলি তা হচ্ছে আমি একসময় মনে করতাম, যারা মৌলিক কিছু সৃষ্টিতে অক্ষম, তারাই মূলত অপারগ হয়ে অনুবাদ কর্মে নামে। কিন্তু, পরে দেখলাম মৌলিক রচনার চেয়ে অনুবাদ অনেক জাটিল এবং অনুবাদ মূলত অতিমৌলিক একটি বিষয়।অন্যের লেখাকে সব কিছু ঠিক রেখে আরেকটি ভাষায় প্রকাশ করা।



তাই এই কর্মকে  সহজ ও যথার্থ করার জন্য আপনাকে অবশ্য কিছু কাজ করতে হবে। 


আমি আমার পোস্টে আগেই বলেছি, অনুবাদ মানে শুধু শব্দের তরজমা নয়; ভাব ও ভাষার রূপান্তর। সুতরাং, আপনাকে উভয় ভাষাতেই দক্ষ হতে হবে অর্থাৎ যে ভাষায় অনুবাদ করতে চাচ্ছেন স্ব ভাষায় দক্ষ্য হতে হবে।  নিয়ম নীতি জানা থাকতে হবে। আরো অনেক ব্যপার আছে যেগুলো জানা থাকা আবশ্যক । এ জন্য আপনি নানা রকমের অনেক আরবি ও বাংলা বই-পত্র পড়তে থাকুন। এতে করে আশা করা যায় আপনি এই ভাষার অন্তঃধারা ধরতে পারবেন। শব্দের দেয়াল অতিক্রম করে মর্মের খুব কাছে যেতে থাকবেন। প্রয়োজন হলে আপনি আপনার পছন্দমত বই পড়ুন। ইসলামিক রচনাবলী এবং স্রেফ গল্প-সাহিত্য—উভয় ধরনের বই পড়তে পারেন।

 


তবে যেহেতু আমি লেখাটি সকলের জন্য লিখছি তাই 

আমি কিছু বই বা লেখকের নাম এখানে উল্লেখ করে দিতে চাচ্ছি, এগুলো আপনি চাইলেপড়তে পারেন। 


  • ত হবে। 


প্রথমতঃ-


এই মর্মটি আমরা বাঙলায় কীভাবে উপলব্ধি করি। কমবেশ না করে ঠিক এই কথাটাই লেখক না বলে যদি আমি বলতাম, তাহলে এর জন্য আমি বাক্যের কোন ভাঙ্গিটি নিতাম এবং কোন কোন শব্দ ব্যবহার করতাম—এটা খুঁজে বের করা। অর্থাৎ আপনি লেখকের ভাষা বোঝার পর আপনার বাংলা ভাষায় প্রকাশ করার চিন্তা করতে হবে। সাথে এই চিন্তা করতে হবে যদি আপনি এই বিষয়টি লিখতেন তাহলে বাংলা ভাষার লোকদের জন্য কেমন শব্দ বাছাই করতেন। কীভাবে উপস্থাপন করতেন। ঠিক এরকম চিন্তা করেই লেখাটি আপনার ভাষায় রুপান্তর করতে হবে তাহলে বাংলা ভাষার লোকজন আপনার ভাষান্তর পড়ে তৃপ্তি পাবে। না হয় কেমন যেন অতৃপ্তি  বয়ে আনবে।


দ্বিতীয়তঃ-


নতুনত্ব পরিমিত ও পরিচ্ছন্ন সাহিত্যের অলংকার দিয়ে একে পরিমার্জিত ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা। 

আরেকটি কথা বলতে হবে তা হচ্ছে, একটি সফল অনুবাদ কখন হয় জানেন? অনুবাদে যখন সততা সংরক্ষিত হয়। অর্থাৎ, মূল লেখকের সবটা বক্তব্য সঠিক মর্মে অনুদিত ভাষায় আসে। অনুবাদকের মনগড়া  নিজের কোন কথা তাতে অনুপ্রবেশ না করে এবং পড়ার সময় পাঠক টেরই পায় না সে মূলত একটা অনুবাদ পড়ছে।বরং, মনে করে বাংলা ভাষায় রচিত কোন বইই সে পড়ছে বুঝি। 



এবার প্রশ্ন হচ্ছে এই দক্ষতা কীভাবে আসবে?


আরবি পড়ে পড়ে আমি না হয় মর্মটি বুঝলাম, কিন্তু, আপন ভাষার ভঙ্গিতে একে চিহ্নিত করা ও সাহিত্যপূর্ণ মেদহীন পরিমার্জিত বাক্যে এটা প্রকাশ করা শিখবো কীভাবে? 


এই কথার উত্তর দেওয়াটা আমার জন্য অতি সহজ আবার অনেক কঠিন।

দেখুন, বাংলাভাষী হিসেবে এ দুটো বিষয়ের বলতে গেলে ৬০% আমাদের  স্বাভাবিক ভাবে জানা হয়ে থাকে। আপনি যদি পরিশিলিত চিন্তা, সুন্দর ভাষায় কথা বলা, এবং সুন্দরভাষী মানুষের আলোচনা শোনায় অভ্যস্থ হয়ে থাকেন, তাহলে হয়তো এর পরিমাণটা আরো বাড়বে। সে হিসেবে ধরতে পারি আপনার ৮০-৮৫% হলো।


কিন্তু, মনে রাখতে হবে, যথাযথ ও হৃদয়কাড়া অনুবাদের জন্য আপনাকে ১০০ ভাগে যেতে হবে। যতটুকু কম থাকবে ঠিক ততটুকু আপনার অনুবাদের দূর্বলতা হয়ে দাড়াবে।


আরেকটি ব্যপার হচ্ছে লেখা ও পড়ার যোগ্যতাঃ-


আমরা দেখতে পাই অনেক মানুষ ভালো পড়তে পারে, বুঝতে পারে এবং ভালো বলতেও পারে; কিন্তু, লেখতে গেলে আটকে যায়। লেখা আসে না। লিখতে গেলে মাথায় কিছুই আসে না। একটা জড়তায় আটকে কলম কামড়াতে থাকে। এটা মূলত লিখার অভ্যাস না থাকার কারণে। আর এই জড়তা দূর করণে বা  কাটার জন্য আপনাকে লেখার অনুশীলন করতে হবে।  লেখার বিকল্প কিছু নেই। মোট কথা আরবি-বাংলা অনুবাদের কাজে হাত দেওয়ার আগে আপনাকে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ে রচনা লেখা শিখতে হবে।




কীভাবে বাংলা রচনা লেখতে পারা যাবে এবং ৮০-৮৫% থেকে ১০০ ভাগে যাওয়া যাবে? বা কি করলে এটা সহজ হবে?



আমার চিন্তা বলে আপনাকে দুইটি কাজ  করতে হবে।



প্রথমতঃ-

বেশি বেশি ভালো মানের বাংলা সাহিত্যে লেখা বই পড়া। 


দ্বিতীয়তঃ-

বাংলা ভাষায় রচনা, গল্প ইত্যাদি লিখে লিখে কাউকে দেখানো এবং তার নির্দেশনায় পরবর্তী কাজ করা। একটি কথা মনে রাখবেন, যারা আরবি-বাঙলা সাহিত্য না পড়ে শুধু একাডেমিক আরবি শিখে অনুবাদ করতে যায়, তাদের অনুবাদ সাধারণত খরখরে রকমের হয়ে থাকে। অনুবাদে তেমন রস থাকে না। ছাড়া ছাড়া বা রসহীন অনুবাদ হয়ে থাকে। এরকম অনুবাদ পড়ার পর মনে হয় যেন পাঠকের পুরো মুখ ধুলোবালিতে ভরে গেছে। এরকম অনুবাদ পড়ার অভিজ্ঞতা হয়ত অনেকের হয়েছে। এই রসহীন  কাজটি সাধারণত মানুষ আরবি থেকে অনুবাদের সময় যেমন করে, অনুরূপ ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষা থেকে অনুবাদের সময়ও করে। 


এখন কথা হচ্ছে আমি তো জানিনা বাংলা ভাষায় আপনার কতটা পারদর্শীতা আছে। আমি আমার নিজের চিন্তা থেকে কিছু বইয়ের নাম লিখে দিচ্ছি এগুলো পড়লে আশা করি অনেকটা উপকৃত হবেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এর বাহিরেও কিছু বই পড়তে পারেন।


এখানে আমি দশটি বইয়ের নাম লিখেছি। সাথে সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তিন গোয়েন্দা সিরিজের যে কোন ২/১টি বই পড়তে পারেন। ১০ নাম্বার বইটিতে সাহিত্য সম্পর্কিত অনেক সুন্দর দিক নির্দেশনা আছে সাথে বাংলার রুপের বর্ণনা উপমা পাবেন। তাছাড়া অনুবাদ নিয়েও আছে সুন্দর আলোচনা। বইটি আমার হাতে নেই। থাকলে অনুবাদের অংশটা আপনাকে দেওয়া যেত। সময় ও সুযোগ হলে কিনে নেবেন। 


আরেকটি বিষয় হচ্ছে গদ্যের গাঁথুনি সুন্দর ও মজবুত হওয়ার জন্য আধুনিক কবিতাপাঠ অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।উ  উপরের তালিকায় ৮ নাম্বারটি( ‘রুপসী বাঙলা’)-টি কবিতার বই। সম্ভব হলে জীবনানন্দের কবিতা আরো খুঁজে পড়বেন। সাথে পড়বেন : নির্মলেন্দু গুন, আল-মাহমুদ, আবিদ আজাদ প্রমুখ। আর শামসুর রহমান বা রফিক আজাদ ঠিক জুতের নন। শব্দের আড়ম্বর আছে, কিন্তু কাব্যউৎকর্ষ তাদের কবিতায় কম। 



সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে,

মনে রাখবেন, সাহিত্যের বই পড়বেন শুধু ভাষা শেখার জন্য; কোন আদর্শ বা জ্ঞান নেওয়ার জন্য নয়। একজন মুসলিম কখনো সাহিত্য থেকে আকিদা বা বিশ্বাস খুঁজতে যাবে না। তাঁর আকিদা, আদর্শ, বিশ্বাস অর্জন হবে কুরআন, হাদিস ও ইসলামিক বই থেকে।

 মূলত আমরা ইসলামিক বই থেকেই সাহিত্য অর্জন করতাম কিন্তু ইসলামিক বইগুলো এখনো সাহিত্যের দিক থেকে সে রকম অবস্থায় যায়নি তাই আমরা এখন বিভিন্ন পাঠ্যক্রম এর সাহায্য নিয়ে জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করছি।




আরবি সাহিত্যের জন্য বই পড়তে গিয়েও নানা জায়গায় অনেক আপত্তিকর বক্তব্য পাবেন। এগুলো পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাষার প্রবাহমান স্রোত ধরতে পারা। এখান থেকে অশ্লীলতা গ্রহণ করা উদ্দেশ্য নয়। এগুলো এড়িয়ে যেতে হবে।




শেষ কথা হচ্ছে। এখানে যা কিছু লিখেছি সব আমার চিন্তা ভাবনা। এমনটা নয় যে আপনিও আমার মত চিন্তা করতে হবে। আপনি অন্যান্য যে কোনো বই পড়তে পারেন। বা যেভাবে ইচ্ছে আরবি অনুবাদ শিল্পে দক্ষতা অর্জনে এগিয়ে যেতে পারেন।


এই ব্লগে মূলত আমি আমার চিন্তাগুলো প্রকাশ করে থাকি। এতে অনেকে অবশ্য উপকৃত হচ্ছেন যার প্রমান পাই তাদের কমেন্ট পড়ে। আপনাদের কমেন্টগুলো আমাকে লিখালিখি করতে আরো বেশি উৎসাহ দেয়।



আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।


২টি মন্তব্য:

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.