হৃদরোগের কারণ ও হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়

হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় বা হৃদরোগ কেন হয়? 


হার্ট এটাক কেন হয়? হৃদরোগ কেন হয়



বর্তমানে হার্ট ডিজিজ বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। মাত্র ৪০ বছর বয়সে অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। শরীরে প্রতিদিন কি পরিমান চর্বির প্রয়োজন আর আপনি কতটুকু চর্বি খাচ্ছেন সে সম্পর্কে খুব বেশি সচেতন থাকতে হবে। তবে আপনি যদি  অনেক বেশি কায়িক শ্রম করেন তবে ব্যপারটি আলাদা।




আমরা সাধারণ এখন তেমন কায়িক শ্রম করিনা ফলে যে চর্বি আমরা খাচ্ছি সেটা আমাদের শরীরের ভিতরে  থেকে যাচ্ছে। ফলে এই চর্বির দ্বারা আমাদের হার্ট ব্লক হওয়া ও গড়পড়তার মত ঝুঁকিপূর্ণ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। তাই আমাদের উচিৎ চর্বি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে একটি পরিমাপ নির্ধাণ করা।



সাধারণত ৩০ বছরের আগেই  মানুষের শরীরের গঠন বৃদ্ধি সম্পন্ন হয়ে যায়। ফলে শরীরে চর্বির চাহিদা কমে যায় তাই বয়স ৩০ এর পর চর্বি গ্রহণের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আপনি যখন ৪০ বছরে বা ৩০ এর অধিক বয়সে উপনীত হবেন তখন অতিরিক্ত চর্বি গ্রহণ করলে সেটা আপনার শরীরে জমা হতে থাকবে। ফলে আপনার অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। মেদ বৃদ্ধি পাবে এবং হৃদরোগ ও হার্ট ব্লক হতে পারে। রক্তে চর্বির পরিমান বৃদ্ধি পাবে। তাই আমাদের উচিৎ চর্বি করলে কায়িক শ্রম করা অথবা পরিমিত চর্বি গ্রহণ করা।



তাহলে আমরা হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায় হিসেবে প্রথমত বলতে পারি, বয়স ৩০ থেকেই আমাদের খাদ্যে চর্বির পরিমান কমাতে হবে। 




দ্বিতীয়ত, 

চর্বি গ্রহণ করলে কায়িক শ্রম করতে হবে, শরীর চর্চার মধ্যমে কয়িক শ্রম হতে পারে বা কোনো কাজ করার মাধ্যমে। কারণ কায়িক শ্রম করার মাধ্যমে আমাদের যে ঘাম ঝরে, এর মাধ্যমে আমাদের শরীরের চর্বি বার্ন হয় বা পুড়ে যায়। ফলে শরীরে চর্বি জমাট বাঁধতে পারেনা। তাছাড়া নিয়মিত শরীর চর্চা দ্বারা অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়।




তৃতীয়ত, 

প্রাণিজ চর্বি ব্যবহার কম করতে হবে। উদ্ভিদজ্জ চর্বি বা তেল অনেকটা নিরাপদ।আবার পশুর চর্বির মধ্যে মাছের চর্বি অনেকটা নিরাপদ কেননা মাছের চর্বি কোলেস্টরেল কমায়।মাছের চর্বিতে রয়েছে ওমেগা-থ্রি নামক কোলেস্ট্ররেল নিয়ন্ত্রক।




হৃদরোগ প্রতিরোধে কায়িক শ্রমের বিকল্প নেই কারণ আমরা প্রতিনিয়ত কোনো উপায়ে চর্বি গ্রহণ করেই থাকি। কিন্তু সে অনুযায়ী কায়িক শ্রম করিনা। তাই আমাদের কায়িক শ্রম বা শরীর চর্চা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তবে হৃদরোগ থেকে হয়ত মহান আল্লাহ আমাদের রক্ষা করবেন। কেননা এ জগৎ তিনি কারো জন্য বসে বসে খাওয়ার জন্য সৃষ্টি করেন নি। প্রত্যেককে তিনি এক একটি দায়িত্ব দিয়েছেন। মূলত আমরা কর্ম বিমুখ হয়ে পড়েছি তাই আমাদের রোগ আক্রান্ত করার সুযোগ পাচ্ছে। কখনো শুনা যায়না একজন রিকশা চালক বা কায়িক শ্রমজীবী মানু্ষ হার্ট ডিজিজ বা হুদ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বসে বসে চর্বি গ্রহণ করা হচ্ছে হৃদরোগ ও হার্ট ব্লক হওয়ার মূল কারণ।


কোন মন্তব্য নেই

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.