আরবিতে কাল বা যামানা কাকে বলে? কাল কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আরবিতে কাল বা যামানা কাকে বলে? কাল কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
Arabic tense in Bangla.
Classification of Arabic tense.
ما هـو الزمانـــــة؟ وكم قســـما لها؟ وما هـي؟ بيـــن بالأمــثلـــــة.
কাল বা যামানা:-
تعريف الزمانــــة
ক্রিয়া সম্পাদিত হওয়ার সময়কে কাল বা যামানা বলা হয়।
যেমন- ذهـــبــت
আমি গিয়েছিলাম।
আযহাবু।
সে যায় বাবা যাবে ।
يـــذهب
য়াযহাবু।
তুমি যাও।
إذهــــب
ইযহব।
তুমি যেও না।
لا تذهــــب
লা তাযহাব।
আরবিতে কাল বা যামানা প্রধানত তিন প্রকার।
الزمانـــة هي علي ثلاثـــة أقــسام.
১। مــاضـــي(মাজি) বা অতীতকাল,
যা দ্বারা অতীতকালে কোনো কাজ সংগঠিত হয়েছিল বোঝায় তাকে মাজি বলা হয়।
যেমন- ذهبــــت فـــي المســـجد
আমি মসজিদে গিয়েছিলাম।
২। حـال(হাল) বা বর্তমানকাল,
যা দ্বারা কোনো কাজ বর্তমান কালে সংগঠিত হচ্ছে বোঝায় তাকে হাল বলা হয়।
যেমন- أذهــــب
আমি যাই।
৩। (মুস্তাকবিল) বা ভবিষ্যৎ কাল,
যা দ্বারা ভবিষ্যৎ কালে কোনো কাজ সংগঠিত হবে বোঝায় তাকে মুস্তাকবিল বলা হয়।
যেমন-أكـلــت الأرز
আমি ভাত খাব।
বিঃদ্র :- সহজে অনুধাবনের জন্য আমি আরবি ক্রিয়ার কালকে এখানে সরসরি তিন প্রকারে উপস্থাপন করেছি।
প্রকৃতপক্ষে আরবি ব্যাকরণবিদগণ আরবি কালকে শব্দ গঠনের সুবিদার্থে প্রথমত ৪ প্রকার বলেছেন।
তা হচ্ছে-
১,ماضــــي (মাজি) বা অতীতকাল।
২,مــضارع(মুজারে) বা বর্তমান ও ভবিষ্যতকাল।
*যা দ্বারা বর্তমান বা ভবিষ্যৎকাল উভয়টি বোঝায় তাকে মুজারে বা মুদারে বলে।
যেমন- أذهـــب إلــي المســـجد
আমি মসজিদে যাই বা যাব।
আযহাবু ইলাল মাসজিদি।
৩,আমর বা আদেশসূচক।
*যা দ্বারা ভবিষ্যতে কোনো কাজের আদেশ দেওয়া হয়।
যেমন- إذهـــب إلــي الســـوق
তুমি বাজারে যাও।
ইযহাব ইলাস সুক্বি।
৪,নাহি বা নিষেধসূচক।
*যা দ্বারা ভবিষ্যৎকালে কোনো কাজ করতে নিষেধ করা বোঝায় তাকে নাহি বলা হয়।
যেমন- لا تذهـــب إلـــي الســــوق
বাজারে যেও না।
লা তাযহাব ইলাস সুক্বি।
শেষের দুইটি প্রকার মূলত ভবিষ্যৎকালের অন্তর্গত।
শব্দগঠনের সুবিদার্থে আলাদা করা হয়েছে।
বাকি ক্রিয়ার আর যত রূপ আছে প্রকারগুলো উক্ত প্রকার থেকেই বের হয়েছে।
১, মাজি ৬ প্রকার।
১, المــاضـي المــطلق (মাজি মুত্বলাক) বা সাধারণ অতীতকাল।
*যা দ্বারা অতীতকালে সাধারণভাবে কোনো কাজ সংগঠিত হয়েছিল বোঝায়।
যেমন- أكلـــت الطــعام
আমি খাবার খেলাম।
আকাতুত ত্ব'আমা।
সাধারণত বাংলায় অনুবাদে শেষে পুরুষ অনুযায়ী ল/লে/লাম হয়।
২,الماضــي القريـــب(মাজি ক্বরিব) বা নিকটবর্তী অতীতকাল।
*যা দ্বারা নিকটবর্তী অতীতকালে কোনো কাজ সংঘঠিত হয়েছিল বোঝায়।
যেমন- قد ذهبـــت إلــي المدرســـة
আমি স্কুলে গিয়েছি।
ক্বদ যাহাবতু ইলাল মাদ্রসা।
বাংলায় অনুবাদে সাধারণত শেষে পুরুষ অনুযায়ী য়েছি/য়েছ/য়েছে হয়।
৩,الماضــي البعـــد(মাজি বায়িদ) বা দূরবর্তী অতীতকাল।
*যা দ্বারা দূরবর্তী অতীতকালে কোনো কাজ সংগঠিত হয়েছিল বোঝায়।
যেমন-كنت ذهبـــت في المسجـــد
আমি মনজিদে গিয়েছিলাম।
কুনতু যাহাবতু ফিল মাসজিদে।
বাংলায় অনুবাদে শেষে সাধারণ পুরুষ অনুযায়ী য়েছিলাম/য়েছিল/য়েছিলে হয়।
৪, الماضـــي الإستمراري(মাজি ইসতিমরারি) বা চলমান অতীতকাল।
*যা দ্বারা অতীতকালে কোনো কাজ চলমান ছিল বোঝায়।
যেমন-كنت أكتـــب قصــة
আমি একটি গল্প লিখছিলাম ।
কুনতু আকতুব ক্বিস্সাতান।
বাংলায় অনুবাদে সাধারণত শেষে পুরুষ অনুযায়ী চ্ছিল/চ্ছিলে/চ্ছিলাম হয়।
অর্থাৎ অতীতকালে চলমান বোঝাবে।
৫, الماضي الإحتمالي(মাজি ইহতিমালি) বা সন্দেহসূচক অতীতকাল।
*যা দ্বারা অতীতকালে কোনো কাজ সংগঠিত হওয়ার ব্যপারে সন্দেহ বোঝায়।
যেমন-
لعلما قرإ الكتـــاب
হয়ত/সম্ভবত সে বইটি পড়েছিল।
লা'আল্লামা ক্বরা'আল কিতাবা।
বাংলায় অনুবাদে সাধারণত শুরুতে হয়ত বা সম্ভবত শব্দটি ব্যবহার করা হয়। আর কালটি মাজি বায়িদের ন্যায় হয়।
৬,الماضــي التمـنائ(মাজি তামান্নাই) বা আকাঙ্ক্ষাসূচক অতীতকাল।
*যা দ্বারা অতীতকালে কোনো কাজের সংগঠিত হওয়ার ব্যপারে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা হয়।
যেমন-
ليتــما قرإ!
যদি সে পড়ত!
লাইতামা ক্বরা'আ।
বাংলায় অনুবাদে সাধারণত শুরুতে যদি শব্দ আসে আর শেষে পুরুষ অনুযায়ী ত/তে/তাম হয়।
* ফেয়েলে মুজারে থেকে আবার গঠিত হয় নিচের সব কাল ও ক্রিয়ার বিভিন্ন শব্দের রুপ।
১, النفــي الجحود بــ لم নফি জাহাদ বা না বোধন অতীতকালের অর্থদানকারী ক্রিয়া।
যেমন-
لم يــذهـــــــب
সে যায় নি।
লাম য়াযহাব।
২,নফি তাকিদ ( النفــي التلكيـــد ب لن)
বা তাকিদসহ না বোধক ভবিষ্যৎকাল
যেমন-
لن يذهـــب
সে কখনও যাবেনা।
লান য়াযহাবা।
৩,লামে তাকিদ বা'নুনে তাকিদ বা (لام تاكيــد و نون تاكيد مستقبل) অধিক তাকিদসহ হ্যাঁ বোধন ভবিষ্যৎকাল।
যেমন-
ليذهبــــن في المسجـد
সে অবশ্যই অবশ্যই মসজিদে যাবে।
লায়াযহাবান্না ফিল মাসজিদি।
আরো কিছু ইসমে মুসতাক্ব গঠিত হয়।
১,ইসমে ফায়েল (الإسم الفاعـــل বা কর্তাবাচক বিশেষ্য।
যেমন-
ناصـــر
নাসিরুন তথা সাহায্যকারী।
২,ইসমে মাফউল বা কর্মবাচক বিশেষ্য।
যেমন-
مضروب
মাযরুবুন তথা প্রহারিত
৩,ইসমে যরফ বা স্থান বা কাল বাচক বিশেষ্য।
যেমন-
مســـجد
মাসজিদুন তথা সিজদা দেওয়ার স্থান।
مغـــرب
মাগরিবুন তথা অস্তমিত হওয়ার সময়।
৪,ইসমে আ'লা বা যন্ত্রবাচক নাম বা বিশেষ্য।
যেমন-
مفــتاح
মিফতাহুন তথা খোলার একটি যন্ত্র বা চাবি।
এগুলোর মাধ্যেই আরবি যামানা ও শব্দের বিভিন্নরুপের আলোচনা পর্যালোচনা হয়। এগুলোর গঠন প্রণালি নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে। আজ শুধু উদাহরণসহ পরিচয় দেওয়া হলো।
এখানে অনেক অনেক ব্যপার আছে যেগুলো লিখে বোঝানো অনেক সময় সাপেক্ষ বা একটি বই রচনার শামিল যা মোবাইলে টাইপ করা অনেক কষ্টসাধ্য।
ধীরে ধীরে সব কিছু আমরা আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ। ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সুপরামর্শ দিয়ে সাথে থাকবেন।
MaShaALLAH
উত্তরমুছুন