মোবাইলে দিয়ে কীভাবে আয় করা যাবে
মোবাইলে দিয়ে কীভাবে আয় করা যাবে
মোবাইল দিয়ে কীভাবে আয় করা যায় |
আসসালামু আলাইকুম!
বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করব। আপনারা ইতোপূর্বে হয়ত অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অনেক লেখাই পড়েছেন। একটাও কাজে লাগেনি অথবা কোনটা কাজে লেগেছে। আবার হয়ত কোনো টিপস কাজে লাগাতে গিয়ে দিনের পর দিন ভিডিও এড দেখেছেন কেউ বা ক্যাপচা টাইপ করে কিছু ডলার জমা করেছেন কিন্তু টাকা আর তুলতে পারেন নি। আজ আমি এই ব্যপারটির সত্যতা প্রকাশ করব। আর অনলাইন টাকা আয় করার সত্যিকার এবং কার্যত কিছু পথ ও উপায় বলে দেব ইন শা আল্লাহ। চলুন তাহলে আমরা আসল কথায় আসি।
কীভাবে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়
আমি অনেক পদ্ধতির কথা শুনেছি কিন্তু মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার একমাত্র উপায় দেখেছি লেখা লেখির মাধ্যমে। হয়ত কোনো একটা দিন আসবে যখন মোবাইল দিয়ে কম্পিউটারের সব কাজ করা যাবে। তখন কিন্তু আপনি মোবাইল দিয়ে অনেক কাজ করে টাকা বা ক্রেডিট বা ডলার ইনকাম করতে পারবেন। আমি এই জন্যই বলেছি মোবাইল দিয়ে লেখা লেখি ছাড়া অনলাইন থেকে টাকা আয় করার আর কোনো পথ নেই কারণ আমি এছাড়া অন্য কোনো ভাবে এক টাকাও আয় করতে পারিনি। তবে অনেকে হয়ত কম্পিউটারে অনেক কাজ করে, পরে মোবাইলে তা তদারকি করে। সে ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে অন্য কাজও করা যেতে পারে। কিন্তু বলতে চাচ্ছি শুধু মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার বর্তমানে অনেক মাধ্যম থাকলেও আমি মনে লেখালেখি আর ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে আয় করা সহজ এবং সম্ভব। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, যদি আপনি ধৈর্যসহকারে লেখা লেখি করতে থাকেন এবং ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব আপলোড করতে থাকেন। তবে ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে ডলার আয় করা শুরু করতে পারবেন। এটা পরীক্ষিত। অনেকে পেয়েছে এবং আমিও পেয়েছি যদিও পরিমান কম।
কোথায় কীভাবে লেখা লেখি করলে টাকা আয় করা যাবে
লেখা লেখি করার অনেক যায়গা আছে। বিশ্বে অনেক ফ্রিলান্সার সাইট আছে যেখানে লেখা লেখি করে আপনি ভিউ এর উপর ভিত্তি করে টাকা পেতে পারেন। আমাদের দেশেও আছে। এমনকি অনেক পত্রিকাও আছে যেখানে নিয়মিত লেখা লেখি করলে আপনাকে তারা সম্মানি দিবে। আমিও পত্রিকায় লিখেছি কিন্তু তারা আমার লেখা নিয়মিত ছাপায়নি তাই নিজেই একটি ব্লগ খুলে তাতে লেখা শুরু করি। আমি আমার সফলাতার কথাই বলতে যাচ্ছি। আমি একটি ব্লগসাইট খুলে নিয়মিত বা মাঝে মাঝে যা মনে আসত তাই লিখে রাখতাম। কিছুদিন পর দেখি আমার লেখাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সার্চ করে পড়ছে। তখন আমি আরো বেশি অনুপ্রাণিত হলাম। একটু ভালো করে লেখা লেখিটা শুরু করলাম। কিছু দিন পরে দেখলাম আমি চাইলে আমার ব্লগের জন্য এডসেন্স আবেদনও করতে পারছি। ভাবলাম দেখি আবেদন করে এডসেন্স আসে কিনা। কি অবাক কান্ড তিন দিনের মধ্যে দেখি আমার এডসেন্স চালু এবং আমার ব্লগে গুগোল অনেক অনেক বড় বড় কোম্পানির এড শো করতে শুরু করে। আমি সত্যিই অবাক হলাম। এবং দেখতে লাগলাম এক দুই ডলার করে করে আমার এডসেন্স একাউন্টে জমা হচ্ছে। এর আগে আমি অনলাইন থেকে কখনো টাকা আয় করতে পারিনি। অনেক লেখা পড়েছি। প্রতিদিন ১০ ডলার আয় করুন এটা করে ওটা করে। বা মাসে ১০০ ডলার আয় করুণ এটা করে। ঘরে বসে ইন্টারনেট থেকে আয় করুণ। হাবিজাবি কত কি! কিন্তু কি হলো? সবই ব্যর্থ।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে একটি ফ্রি ব্লগ সাইট খোলা যায় তা জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন । ফ্রি ওয়েব সাইট খুলে মোবাইলে টাকা আয় করুন অতি সহজে নিজে নিজে।
একমাত্র সফলতা আছে কষ্টের কাজে বা মেধায়। আপনি অনলাইনে ভিডিও দেখে টাকা আয় করে ফেলবেন টাকা তো এত কম মূল্যের না। পৃথিবীর সবাই টাকার পাগল তবে আপনাকে কেন এত সহজে টাকা দিবে। তাই শুধু শুধু অতি সাধারণ কাজ করে টাকা আয়ের চিন্তা বাদ দিন।
মোবাইলে টাকা আয় করতে পেরেছি আরেকটি কাজ করে। তবে সেটা মোবাইলেরর কাজ না যদিও আমি মোবাইলে করেছি। ইউটিউবে আমি মোবাইলে ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিয়ে আমার চ্যানেলে ৫ হাজার সাবসক্রাইবার পেয়েছি। ৬হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম পেয়েছি। মূলত চ্যানেলটি আমি মোনিটাইজ করার কোনো ইচ্ছে রাখিনি। তবুও করেছি যেন সে টাকা দিয়ে চ্যানেলটির উন্নয়নে কিছু যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারি। কারণ কেউ তো টাকা দিয়ে হেল্প করবেনা কিন্তু সবাই হেল্প নিতে চায়। সবাই ভিডিও দেখে ধন্যবাদ জানায় সে জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ তাদের উৎসাহ ও বার বার আবদনের কারণেই আমি ভিডিও তৈরি করতে বাধ্য হয়েছি। যা হোক এই দুই উপায়ে আমি অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পেরেছি। আপনারাও চাইলে শুরু করতে পারেন তবে টাকা আয় করব। এরকম অস্থির ইচ্ছে নিয়ে কিছুই হবেনা। আমি ভাবিনি এরকম হবে কিন্তু হয়েছে। আমি আমার কাজ চালিয়ে গেছি একটা সময় সব কিছু আমার জন্য রেডি হয়েছে।
এছাড়াও আপনার যে যে পদ্ধতিতে অনলাইন থেকে সত্যিই আয় করতে পারবেন তার কিছু আলোচনা আমি করতে চাই হয়ত কেউ এদিকে আগ্রহী থাকতেও পারেন অথবা আমার লেখাই কেউ হয়ত একটি পথ পেয়ে যেতেও পাররন। তাই আজকে আপনাদের আমার সফলাতার বাহিরে কিছু পথের কথা শেয়ার করছি।
অনলাইন থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায়
- ভার্চুয়াল সহকারী
এখন বিশ্বব্যপি বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি ভার্চুয়াল সহকারী নিয়োগ দিয়ে থাকে। নিজের দৈনিক কাজ কর্ম ও অফিসের কাজ কর্মের জন্য ঘন্টা প্রতি অন্তত ৫ ডলার থেকো কাজের উপর ভিত্তি করে অনেক পরিমান ডলার দিয়ে থাকে। এসব কাজ আপনি ফ্রিলানসার ও আপওয়ার্কের মতো মার্কেট প্লেসগুলো থেকে পেতে পারেন। তবে সবার আগে চাই কাজের দক্ষতা।
- ডাটা এন্ট্রি
আমার মনে হয় ইন্টারনেটে ডাটা এন্ট্রির চেয়ে সহজ কাজ আর নেই। তবে এ কাজেরও প্রচুর পরিমান চাহিদা রয়েছে। ডাটা এন্ট্রি করেও আপনি সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে হাজার ডলারের কাজ পেতে পারেন। তবে কাজ পাওয়াটা ডিপেন্ড করে আপনার প্রোফাইলের পূর্ববর্তী কাজের রেটিং ও রিভিউয়ের উপর। বড় বড় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকে তো টিম গঠন করে প্রতিষ্ঠান করে নিয়েছে ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য। কারণ ক্লায়েন্ট কাজ দেয় প্রোফাইল ও দক্ষতা দেখে।যদি আপনার প্রোফাইল এবং দক্ষতা ভালো থাকে তবে আপনি চাইলে কাজ এনে অন্যদের দিয়ে করাতে পারবেন।এমনটা অনেক ফ্রিলানসার করছে। তাই যখন আপনি নতুন ফ্রিলানসার তখন কোনো কাজ হাতে পেতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নির্ভুলভাবে দ্রুত জমা দেওয়ার চেষ্টা করবেন তবে পরবর্তীতে সেই ক্লাইন্টে আগে আপনাকেই ডাকবে। এভাবে আপনিও একজন দক্ষ ফ্রিলানসার হতে পারেন।
আরো অনেক কাজ করে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন যেমন,
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন
- ওয়েব সিকিরিটি
- ওয়েব ডেভেলপিং
- এন্ড্রোয়েড ডেভেলপিং
- ভার্চুয়াল কলার
- ভাষা অনুবাদ
- কনটেন্ট রাইটিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- প্রোডাক্ট প্রোমোট
- থিম মেকিং
- ওয়ার্ডপ্রেস তৈরি
আরো অনেক কাজ আছে যা এখানে সব বিস্তারিত বলে শেষ করা যাবেনা। আপনার কাজের যে দক্ষতা আছে তা নিয়ে কাজ শুরু করুন তবে দিন দিন পথ পেয়ে যাবেন। বা আপনি বুঝে যাবেন কি কি উপায়ে অনলাইন থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় ব্যপার হচ্ছে এখন যেহেতু অনলাইনে সব ধরণের কাজ হচ্ছে তাই এদিকে কিছু দক্ষতা অর্জন করা দরকার। হয়ত এটা আপনার প্রধান ক্যারিয়ার নাও হতে পারে কিন্তু যদি আপনার কাজের অবসরে এদিকে নজর দেন তবে হয়ত দৈনিক পকেট খরচ বা ইন্টারনেট খরচটা আসতেও পারে।
কোন মন্তব্য নেই