আরবি লফয বা ধ্বনি কাকে বলে, কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ আলোচনা
আরবি লফয বা ধ্বনি কাকে বলে, কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ আলোচনা
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আমরা নাহু নিয়ে একটি নিয়মিত লেখা প্রকাশ করতে চাচ্ছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। এই লেখাটি লিখেছেন মুহাম্মাদ আল-আমিন। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। আমরা পর্ব আকারে লেখাটি ব্লগে প্রকাশ করার চেষ্টা করব। চাইলে আপনারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের ব্লগে লিখা লিখি করতে পারবেন।
আজকের আলোচনার বিষয়টি আরবি ব্যাকরণ নাহু অংশেরএকদম শুরু থেকে হবে। যারা প্রাথমিক পর্যায়ের তাদের জন্য অনেক উপকার হবে।
১ম পর্ব
আরবি ভাষা শুরু হয় لفظ(লফয) বা ধ্বনি দিয়ে।
لفظ শব্দের অর্থ 'ধ্বনি(আওয়াজ)'
লফয বলা হয় মানুষের মুখ দিয়ে যা বের হয়, যেমনঃআপনি বললেন 'القلم(আল ক্বলামু)'
এখানে আল ক্বলামু টি আপনার মুখ দিয়ে ধ্বনি আকারে বের হয়েছে তাই এটি লফয,
যেহেতু মানুষের মুখ দিয়ে কথা বলার সময় ধ্বনি(আওয়াজ) বের হয় সেজন্য একে لفظ বলা হয়।
এবার আসি لفظ এর প্রকারভেদে
এটা দুই প্রকার। যথা-
একঃموضوع(মাওযু)
দুইঃمهمل(মুহমাল)
একঃموضوع এর আলোচনাঃ موضوع অর্থ অর্থবোধক যে লফয এর অর্থ আছে তাকে موضوع বলে।
যেমন-القلم এর অর্থ আছে তাই এটি موضوع
দুইঃمهمل এর আলোচনা - مهمل অর্থ অর্থহীন,
যে লফয এর অর্থ নেই অর্থাৎ আমাদের মুখ দিয়ে এমন কিছু ধ্বনি বের হয় যার কোনো অর্থ নেই তাকে مهمل বলে।
যেমন- ديز (দাইযুন) এর কোনো অর্থ নেই
আবার বাংলাতে আমরা বলি 'কলম-টলম থাকলে দে'
এখানে টলম শব্দটি অর্থহীন যদিও আমরা এটা কলম শব্দের সাথে মিলিয়ে বলি।
মূলত আরবি বা যে কোনো ভাষায় মাউদু বা অর্থবোধক শব্দ নিয়েই আলোচনা করা হয়। আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের ইনফোবিডি২৬৬ ব্লগে লিখে যাবো। আপনারা কমেন্ট করে জানাবেন।
আপাতত প্রথম পর্বের আলোচনা এতটুকু। বাকিটা ২য় পর্বে আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং কমেন্ট জানিয়ে দিবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
সবাই কমেন্ট বক্সে موضوع এবং مهمل এর ৫টি করে উদাহরন লিখুন।
ধন্যবাদ ভাইয়া। এইভাবে ধারাবাহিক ক্লাস গুলো দিলে ভালো হয়। আমি জেনারেল শিক্ষিত বুঝতে অনেক সহজ লাগলো।
উত্তরমুছুনআপনাকে আল্লাহ দীর্ঘ হায়াত দান করুক । আমিন।