ইউটিউব থেকে কীভাবে টাকা আয় করা যায়.
ইউটিউব থেকে কীভাবে টাকা আয় করা যায়.
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার আসল উপায় |
আজকের ব্লগের শুরুতে আপনাকে জানাচ্ছি উষ্ণ অভ্যর্থনা। আজকের লেখাটি লেখার একমাত্র উদ্দেশ্য সত্য উন্মোচন করা। কারণ আমি অনেক সাইটে দেখেছি বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কেউ কেউ ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা সহজ বলছে আবার কেউ বলছে অনেক কঠিন। বিভিন্নভাবে ভয় দেখাচ্ছে। ফলে কেউ কেউ ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছে আবার কেউ ইচ্ছে হারিয়ে ফেলছে।
পৃথিবীর সকল মানুষের বলতে গেলে একই ইচ্ছে যে কীভাবে সহজে টাকা আয় করা যায় সে পথ ধরা। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের বাংলাদেশ ও আশে পাশের অনেক দেশের মানুষের ধারণা হয়ত ইন্টারনেট থেকে খুবই সহজে টাকা আয় করা যাবে। হ্যাঁ ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা খুবই সহজ আবার কারো জন্য খুবই কঠিন। আজ আপনাদের এটাও বলব কাদের জন্য সহজ আর কাদের জন্য ইউটিউব থেকে আয় করা কঠিন।
√ আজকের লেখাটি প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনা করা হবে।
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা কাদের জন্য সহজ
যারা নিজের ক্যামেরা দিয়ে তোলা ভিডিও নিয়ে কাজ করবে। অন্য কারো সম্পদ বিভিন্নভাবে নিজের বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেনা। কারো ভিডিও বা অডিও নিজের কন্টেন্টে যুক্ত করবে না। যারা টাকা আয় করার জন্য অস্থির হয়ে যাবে না। এমন ভিডিও তৈরি করবে যে ভিডিও মানুষের কোনো না কোনোভাবে কাজে আসবে অর্থাৎ যারা ভিডিও তৈরি করে মানুষের উপকার করতে চায়। যারা নিজের কাজ বা কনটেন্ট নিয়ে ইউটিউবে কাজ করবে মূলত তারাই সহজে টাকা আয় করতে পারবে। আমি আশা করি বুঝাতে পেরেছি কারা ইউটিউব থেকে সত্য সত্য টাকা আয় করতে পারবে। তাদের চ্যানেল ইউটিউব কোম্পানি কখনো নষ্ট করে দিবেনা। বরং ইউটিউব প্রয়োজনে এমন ইউটিবারদের টাকা দিয়ে রাখবে যেন তাদের সাইটে ভিডিও আপলোড দেয়।
মোবাইল দিয়ে কীভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট খোলা যায় তা জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন
ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যাদের জন্য কঠিন
যারা শুধুই মানুষের কন্টেন্ট কপি করে ইউটিউবকে ধোকা দিয়ে টাকা আয় করতে চায় তারা পারবেনা। যদিও কিছুদিন টাকা আয় করতে পারে কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। যে কোনো সময় ইউটিউব কোম্পানি এমন ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিতে পারে বা দিবেই। তখন কান্না কাটি করেও চ্যানেল ফেরত পাওয়া যাবেনা। তাই টাকা আয় করার চিন্তা প্রথমেই না করে আগে নিজের ভিডিও দিয়ে মানুষের উপকার করার চেষ্টা করুন। টাকা এমনিতেই আসবে। এমন ভিডিও তৈরি করবেন না যা কারো উপকার আসেনা। কিছুদিন টাকা পেলেও নিজেকে ইউটিউবার হিসেবে সব যায়গায় পরিচয় দিতে পারবেন না। যে কেজের কথা আনন্দভরে বলা যায় না সে কাজে প্রকৃত সফলতা নেই।
কীভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়
অনেকভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার চ্যানেল এর উপর এবং আপনার যোগাযোগ ও বিচক্ষণতার উপর নির্ভর করে তবে আমি এখানে সহজ দুইটি উপায় বলব।
তা হচ্ছে
১) মনিটাইজেশন বা পার্টনার প্রোগ্রাম চালু করে।
২) এফিলিয়েট মারকেটিং করে।
কীভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের প্রডাক্ট বিক্রি করে তাদের থেকে কমিশন নিবেন।
এটা করার জন্য আপনি বিশ্বের বড় বড় অনলাইন মার্কেট প্লেস বেছে নিতে পারেন তবে টাকা আয় করা এবং টাকা তোলা সম্ভব হবে। অথবা আপনি অফলাইনে কোনো কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্রডাক্ট এর মার্কেটিং অনলাইন এ করে দিতে পারেন এবং কমিশন ভিত্তিতে টাকা নিতে পারেন। এই দুই পদ্ধতি ছাড়া আপনার মাথায় কোনো বুদ্ধি আসলে কাজে লাগাতে পারেন। আমার জানা এই দুটি পদ্ধতি একদিম সহজ এবং বিশ্বস্ত মনে হয়েছে।
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন চালু করার শর্ত কি?
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী আপনার চ্যানেলটি যদি এক হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয় তবে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এ আবেদন করতে পারবেন। তার পর তারা আপনার চ্যানেলটি তিনদিনের মধ্যে রিভিউ করে জানাবে আপনি পার্টনার প্রোগ্রাম পাবেন কিনা? কখনো তিনদিনের বেশি সময়ও লাগতে পারে। এটা মূলত চ্যানেলের কন্টেন্ট এর উপর নির্ভর করে। আপনি যদি শুধু ক্যামেরা দিয়ে তৈরি করা ভিডিও আপলোড দিয়ে থাকেন তবে তিনদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। আমারটাও হয়েছে। আরও অনেকের হয়েছে।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম বা মনিটইজেশন চালু করার জন্য দেশের নাম বা লোকেশন কি দেব?
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম বা পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন করা যায় না তাই ইউটিউব এর দেশের ঠিকানা তথা Uited states দিতে পারেন। কারণ ইউটিউব মূলত আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী চলে। আপনিও সে নিয়মে ইউটিউবে কাজ করে থাকবেন। আমি বলব যখন চ্যানেল খুলবেন তখন থেকেই লোকেশন দিয়ে রাখুন যে দেশ থেকে পার্টনার প্রোগ্রাম আবেদন করা যায়। কারন লকেশন ঠিক না থাকলে আপনার হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার আর হাজার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকলেও আবেদন করার সুযোগ থাকবেনা।
কীভাবে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করব
মনিটাইজেশন চালু করার আগে কিছু করণীয় আছে। আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার চ্যানেলে ভুলেও অন্যের কারো কন্টেন্ট আপলোড
করেছেন কিনা। কারন যখন আবেদন করবেন আর ইউটিউব যদি এরকম ভিডিও পায় তবে আপনার চ্যানেলকে ভালো চোখে দেখবেনা। যদিও তারা এটা উল্লেখ করে বলে দিবে কোন ভিডিও টা তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন রক্ষা করেনি।
মূলত তিনটি ধাপে আপনি চ্যানেলটি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
১) ইউটিউব এর সকল রুল আপনি মানবেন এই মর্মে একটি টিক দিতে হবে।
২) একটি এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে আর খোলা থাকলে ইয়েস লিখে ক্লিক করতে হবে তখন আপনাকে এডসেন্স একাউন্ট এ নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আপনি আপনার চ্যানেল এর লিংকটা কপি কতে বসিয়ে দিলেই হবে। তার পরে নিজে নিজে রেডিরিক্ট হয়ে যাবে।
৩) আর তিন নাম্বার কাজ হচ্ছে রিভিউ প্রগরেসস। মানে এটা আপনার কাজনা। ইউটিউব এখন আপনার চ্যানেলটি রিভিউ করা শুরু করবে। হয়ত তিনদিন সময় নিবে।
কীভাবে মোবাইল দিয়ে সহজে ভিডিও এডিট করব
আমি সব ভিডিও মোবাইল দিয়ে এডিট করে আপলোড করেছি। আমি দুটি এপ্স ব্যবহার করেছি তা হচ্ছে Action director আর Kine master। Action director ta play store এ পাবেন আর kine master water mark ছাড়া প্লেস্টোরে পাবেন না। আমি দুইটাই ওয়াটারমার্ক ছাড়া ব্যবহার করেছি । বর্তমানে Kaine master pro lite ব্যবহার করছি। কারো দরকার হলে কমেন্ট করবেন দেওয়ার চেষ্টা করব। এটা ফ্রি এবং সব সুবিধাসহ।
ইউটিউব থাম্বলাইন যুক্ত করার জন্য ইউটিউব স্টুডিও মোবাইল এপসটা সবচেয়ে ভালো। আপনার ভিডিওর সব তথ্য জানতে পারবেন।
কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করব
ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফাই করার কিছু নেই। আপনার ইমেইল আইডি ভেরিফাই করলেই ইউটিউব আইডি ভেরিফাই হয়ে যাবে।অথবা ইউটিউব স্টুডিও থেকে ভেরিফাই করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার কি কি করতে হবে
শুধু ভিডিও আপলোড দিবেন। টাইটেলটা মানুষের দিকে লক্ষ রেখে লিখবেন। কিছু ট্যাগ লিখে দিবেন। পারলে ডেসক্রিপশনটা একটু সুন্দর করে লিখবেন। এমনভাবে লিখবেন যাথে করে আপনার ভিডিওর রিলেটেড শব্দগুলো আসে। অর্থাৎ মানুষ যে শব্দগুলো ব্যবহার করে সে শব্দগুলো ডেসক্রিপশনে আনার চেষ্টা করুন। টাইটেলে নিজের চ্যানেলের নাম দিন। এগুলো প্রথম দিকে অবশ্যই করবেন। তবে সার্চ করলে আপনার চ্যানেলটি আগে আসবে। এভাবে কাজ চালিয়ে যান। ২০ থেকে ৩০ টা ভিডিও আপলোড হলেই দেখবেন ইউটিউব আপনার চ্যানেলটি ভিউয়ারদেরকে রিকমেন্ড করছে। অর্থাৎ আপনার চ্যানেলের প্রচার ইউটিউব নিজেই করে দিবে।
ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা কীভাবে তোলা যায়
আপনি ইউটিউব বা ব্লগ থেকে আয় করা টাকা আপনি এডসেন্স একাউন্ট এর মাধ্যমে সহজে তুলতে পারবেন। যখন একশত ডলার আপনার ইনকাম হবে তখন এডসেন্স আপনার কাছে একটি ব্যাংক একাউন্ট চাইবে তখন একাউন্ট নাম্বার দিলে তারা আপনার টাকা ব্যাংকে পাঠিয়ে দিবে। আর কিছু লিখতে চাচ্ছিনা। লেখা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে।পরে অনলাইন থেকে কীভাবে আয় করা যাবে এই ব্যপারে একটি লেখা লিখার ইচ্ছে আছে।
এছাড়া আর কোনো তথ্য জানতে চাইলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
Hey all! this is a new classified website. You can post your ad in this platform free!
উত্তরমুছুনব্লগ পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছি। ইউটিউব মনিটাইজেশন হল আপনার ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জন করার ক্ষমতা। আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন করতে হবে। ইউটিউব ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন কি? ও চালু করার নিয়ম অবশ্যই জানতে হবে এই আর্টিকেলে আলোচনা করেছি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন কি? ও চালু করার নিয়ম 2023 তবে আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ ও রুলস মেনে আবেদন করতে হবে।
উত্তরমুছুন