বাব কাকে বলে? বাব কত প্রকার ও কি কি ? এক নজরে ৪৩ বাব

আরবি বাব কাকে বলে? আরবিতে বাব কতটি? এক নজরে ৪৩ বাব, মিজান ও মুনশাইব উদাহরণসহ আলোচনা।


বাব কাকে বলে । বাব কয়টি কি কি? Fakhrul Academy, arabic 43 bab.  আরবি ৪৩ বাব একসাথে । বাবের আলামত কি, বাব চেনার উপায়, কীভাবে বাবের তাহকিক করা যাআয়, তাহকিক করার নিয়ম
আরবি বাব কাকে বলে কত প্রকার কি কি



What is Arabic Bab? How many Bab in Arabic grammar? with example . 43 Arabic bab at a glance.



আস্সালামু আলাইকুম!

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা! আশা করি আপনার সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। ধারাবাহিক আরবি ব্যাকরণ নাহু সরফ আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা আরবি বাব নিয়ে আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ।



প্রথমে জানবো আরবি বাব কি ও কাকে বলে?



বাব একটি আরবি শব্দ, এর অর্থ দরজা বা অধ্যায়। এটি আরবি ক্রিয়ার শব্দ গঠনে প্রয়োজন হয়। আরবি বাব শব্দের মূল বর্ণ ঠিক রেখে অতিরিক্ত কিছু বর্ণ যুক্ত হয়ে নতুন নতুন শব্দের বিকাশ করে। আরবি ক্রিয়ার রুপ সেই বাব বা অধ্যায় ভিত্তিক বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি বাবের জন্য স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্যও থাকে।



আরবি ভাষায় ব্যবহৃত ক্রিয়ার এই ভিন্নতাকে নাহু সরফবিদগণ বা আরবি ভাষাবিদগণ ৪৩ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন। অর্থাৎ আরবি যত ক্রিয়া আছে এগুলো মোট ৪৩ টি ক্যাটাগরিতে ব্যবহৃত হবে। "বাব" কে আরবি শব্দগঠনের দরজা বলা হয়।



অর্থাৎ আরবি বাব ঐ শাস্ত্রকে বলা হয় যা জানার দ্বারা আরবি ক্রিয়ার বিভিন্নরুপের অধ্যায় ও অর্থের পার্থক্য জানা যায়।


আমরা এখন উদাহরণ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করব।


আরবি একটি মাসদার বা ক্রিয়া হচ্ছে, (النصر) আন-নাসরু তথা সাহায্য করা।


এই বাবের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি মাজী তথা অতীকালের শব্দের ফা, আইন ও লাম কালিমাতে যবর হবে।

যেমন, নাসারা (نصر) - অর্থ একজন পুরুষ সাহায্য করল।

আবার ফেয়লে মুদারে তথা বর্তমান ও ভবিষ্যৎকালের শব্দগঠনের সময়, আইন কালিমাতে পেশ হবে।

যেমন- ইয়ানসুরু (ينصر) অর্থ সে সাহায্য করছে বা করবে।


এবার একই ক্রিয়ার মূল বর্ণগুলো যখন অন্য باب "বাব " এ ব্যবহার হয় তখন দেখুন অর্থ এবং শব্দের কেমন পরিবর্তন হয়।


আন-নাসরু (النصر) যখন বাবে নাসারা থেকে বাবে ইসতিফআলে ব্যবহার হয় তখন ক্রিয়াররুপ হয়, আল- ইসতিনসারু (الإتنصار)=সাহায্য কামনা করা।


এই বাবের আলামত হচ্ছে শুরুতে একটি নকল আলিফ হওয়া, ফা - কালিমার পূর্বে "তা" অতিরিক্ত হওয়া, ফা এবং আইন কালিমার মাঝে একটি আলিফ অতিরিক্ত হওয়া।



এখানে বাবে ইসতিফ'য়ালে (الإستنصار) অর্থ হয়েছে সাহায্য কামনা করা অথচ বাবে নাসারা তে অর্থ হয়েছে সাহায্য করা। উক্ত ক্রিয়া দুইটি একই মূল বর্ণ থেকে গঠিত হয়েছে। তা হচ্ছে নূন,সাদ,রা ( ن-ص-ر)

তাহলে এবার আশা করি বুঝতে পেরেছেন বাবের কারণে কীভাবে আরবি শব্দ এবং অর্থের মধ্যে পরিবর্তন হয়।




আরবি বাবগুলো কীভাবে বিভক্ত হয়।



আরবি বাব যেহেতু ক্রিয়ার জন্য নির্ধারিত। সুতরাং ক্রিয়ার বর্ণের উপর ভিত্তি করে আরবি বাব কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগ করার পদ্ধতিকে বলা হয় মুনশাইব (منشعب)। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই মুনশাইব বা শাখা প্রশাখা শব্দটি মনে রাখুন। আজ আমরা এখানে আরবি বাবের বিভিন্ন প্রকার ও তাদের নাম জানব। তারপর পরবর্তী পোস্টে আরবি বাব এর আলামত ও প্রয়োগ সম্পর্কে জানব।



এবার আসুন জেনে নেই আরবি ভাষায় বাব মোট কতটি ও কি কি?




আরবি ভাষায় মোট ৪৩ টি বাব রয়েছে। তবে সবগুলোর ব্যবহার তেমন বেশি হয় না। মোটামুটি ২৩টি বাব সচরাচর ব্যবহার হয়। এখানে ৪৩টি বাব এর নাম তাদের বিভিন্ন প্রকারের আলোকে দেওয়া হলো।


বিঃদ্র :-

মনে রাখার বিষয় হচ্ছে এই বাবগুলোর শাখা প্রশাখায় বিভক্ত করাকে বলা হয় মুনশাইব। আর বিভিন্ন কালের শব্দগঠন নীতিকে বলা হয় সরফ বা রুপান্তর। আর এই দুটিকে সমন্বয় করে বলা হয় ইলমুস সরফ।



তাহলে চলুন আরবি বাব এর পরিভাষার নাম গুলো জেনে নেই।




সকল ( الأفعال متصرفة) রুপান্তরশীল ক্রিয়া [الأسماء المتصرفة] এবং বিশেষ্য হুরুফে আসলি তথা মূল অক্ষরের বিচারে দুই প্রকার।


ক) ثلاثي (সুলাসী) তিন অক্ষর বিশিষ্ট।

♦যার মূল অক্ষর তিনটি হয় তাকে বলা হয় সুলাসী। যথা: (নাসারা) نصر


খ)رباعي (রুবায়ী) চার অক্ষর বিশিষ্ট

♦যার মূল অক্ষর চারটি হয় তাকে বলা হয় রুবায়ী। যথা: (বা'সারা) بعثر


আবার ثلاثي و رباعي(সুলাসী ও রুবায়ী) দুই প্রকার যথা:

ক)مجرد (মুজাররাদ)

খ) مزىد فيه(মাযিদ ফিহ)


সুতরাং সুলাসী রুবায়ী অতিরিক্ত হওয়া, না হওয়ার দিক থেকে ভাগ করলে হবে.....


ক)ثلاثي مجرد(সুলাসী মুজাররাদ)

♦যার মূল অক্ষর তিনটি এবং অতিরিক্ত কোনো হরফ হয় না তাকে বলে।

যথা: (নাসারা) نصر. ضرب


খ)ثلاثي مزيد فيه(সুলাসী মাযিদ ফিহ)

♦যার মূল অক্ষর তিনটি এবং মূল বর্ণ ছাড়া অতিরিক্ত বর্ণও হয় তাকে বলা হয়।

যেমন- (ইজতানাবা) إجتنب


গ)رباعي مجرد(রুবায়ী মুজাররাদ)

♦যার মূল বর্ণ চারটি এবং অতিরিক্ত বর্ণ হয় না তাকে বলে।

যেমন- (বা'সারা)بعثر


ঘ)رباعي مزيد فيه(রুবায়ী মাযিদ ফিহ)

♦যার মূল বর্ণ চারটি এবং অতিরিক্ত বর্ণও হয় তাকে বলে।

যেমন- ইবরানশাক্বা (إبرنشق)



এবার ثلاثي مجرد (সুলাসী মুজাররাদ) আবার দুই প্রকার

১)مطرد(মুত্বারিদ)

♦যা বেশি ব্যবহৃত হয় তাকে বলা হয়।

যথা:- (নাসারা) نصر. سمع.ضرب


২)شاذ(শায)

♦যা কম কম ব্যবহৃত হয় তাকে বলে।

যেমন- (হাসিবা)حسب


এবার ثلاثي مزيد فيه (সুলাসী মাযিদ ফি) আবার দুই প্রকার।

যেমন-

১)ملحق(মুলহাক্ব)

♦অন্য শব্দের ওজনের সাথে মিলানোর জন্য বর্ণ বাড়ানো হলে তাকে মুলহাক্ব(ملحق) বলে।


২)غير ملحق(গইরি মুলহাক্ব)

√ অন্য শব্দের ওজনের সাথে মিলানোর জন্য বর্ণ বাড়ানো না হলে তাকে গাইরে মুলহাক্ব(غير ملحق) বলে।
যেমন - দারাবা (ضرب)


সুলাসী মাযিদ ফিহ গাইরে মুলহাক্ব(ثلاثي مزيد فيه غير ملحق) ২ প্রকার।

১)বা-হামাঝায়ে ওয়াসল (باهمزة وصل)।
যার শুরুতে হামঝায়ে ওসল থাকে তাকে বলে।
যেমন,ইজতানাবা (إجتنب)

২)বে-হামজায়ে ওসল(بي همزة وصل)।
যার শুরুতে হামঝায়ে ওসল থাকে না তাকে বে-হামঝায়ে ওসল বলে।
যেমন;- আkরমা(أكرم)


সুলাসী মাঝিদফিহ মুলহাক্ব(ثلاثي مزيد فيه ملحق) তিন প্রকার।

১)রুবায়ী মুজাররাদ( ملحق مع رباعي مجرد)
রুবায়ী মুজাররাদের সাথে ওজনে মিলানোর জন্য কোনো হরফ বাড়িয়ে গঠনকৃত শব্দ। যেমন;- জালবাবা(جلبب)

২)তাসারবালা(ملحق مع تسربل )
তাসারবালা এর সাথে ওজনে মিলানোর জন্য কোনো হরফ বাড়িয়ে গঠিত শব্দ।
যেমন;- তাজালবাবা(تجلبب)


৩)ইবরানশাক্বা( ملحق مع إبرنشق)

ইবরানশাক্বা এর সাথে ওজনে মিলানোর জন্য কোনো হরফ বাড়িয়ে গঠিত শব্দ।
যেমন ;- ইক্বআনসাসা(إقعنسس)


রুবায়ী মাঝিদফিহ (رباعي مزيد فيه)দুই প্রকার।

১) রুবায়ী মাঝিদফিহ বা-হামঝায়ে ওসল(رباعي مزيد فيه با همزة وصل)।

যার মধ্যে মূল হরফ চারটি এবং কিছু হরফ বাড়ানো হয় তবে শুরুতে হামঝায়ে ওসল থাকে না।
যেমন;- তাসারবালা (تسربل)

২)রুবায়ী মাঝিদফিহ বে-হামঝায়ে ওসল(رباعي مزىد فيه بي همز وصل)।

যার মধ্যে মূল হরফ চারটি এবং কিছু হরফ বাড়ানো হয় তবে শুরুতে হামঝায়ে ওসল থাকে।
যেমন;- ইবরানশাক্বা (إبرنق)



নিচে এক নজরে ৪৩ বাবের নামগুলো দেওয়া হলো


ثلاثي مجرد مطرد এর বাব ৫টি

نصر ينصر
ضرب يضرب
سمع يسمع
فتح يفتح
كرم يكرم

 ثلاثي مجرد شاذ এর বাব ৩টি

حسب يحسب
فضل يفضل
كاد يكاد

 ثلاثي مزيد فيه با همزة وصل  এর বাব ৯ টি

إفتعال=إجتناب
إستفعال=إستنصار
إنفعال=إنفطار
إفعلال=إحمرار
إفعيلال=إدهيمام
إفعيعال=إخشيشان
إفعوال=إجلواظ
إفاعل=إثاقل

 ثلثي مزيد فيه بغير همزة وصل এর বাব ৫ টি

إفعال=إكرام
تفعيل=تصريف
تفعل=تقبل
مفاعلة=مقابلة
تفاعل=تقابل

 رباعي مجرد এর বাব ১ টি

فعللة=بعثرة


 رباعي مزيد فيه بغير همزة وصل এর বাব ১ টি

تفعلل=تسربل



 رباعي مزيد فيه با همزة وصل এর বাব ২ টি

إفعلال=إقشعرار
إفعنلال=إبرنشاق


 ثلاثي مزيد فيه ملحق برباعي مجرد এর বাব ৭ টি

فعللة=جلببة
فعنلة=قلنسة
فوعلة=جوربة
فعولة=سرولة
فيعلة=خيعلة
فعيلة=شريفة
فعلاة=قلساة


 ثلاثي مزيد فيه ملحق بتسربل এর বাব ৮ টি


تفعلل=تجلبب
تفعنل=تقلنس
تمفعل=تمسكن
تفعلت=تعفرت
تفوعل=تجورب
تفعول=تسرول
تفيعل=تخيعل
تفعل=تقلس

 ثلاثي مزيد فيه ملحق بإبرنشق এর বাব ২ টি

إفعنلاء=إسلنقاء
إفعنلاا=إقعنساس



পরবর্তী পর্বে ইনশা আল্লাহ সকল বাবের আলামত নিয়ে আলচনা করা হবে।
তবে আপনাদের মন্তব্য আশা করছি।

৬টি মন্তব্য:

  1. এক নজরে ৪৩ বাব। মুনশায়িব কিতাবের সংক্ষিপ্ত সার এই এ্যাপে পাবেন। প্রতিটি মাসদারের বাংলা অর্থ ও সরফে সগীর দেখানো হয়েছে।
    https://play.google.com/store/apps/details?id=com.wEkNojore43Bab_15099819

    উত্তরমুছুন
  2. একটি ভাব উল্লেখ নেই।42 টা আছে

    উত্তরমুছুন
  3. ثلاثي مزيد فيه با همزة وصل
    এর ৯টি বাবের মধ্যে ৯ নম্বর বাবটি এখানে আসেনি। সেটি হলঃ إفَّعُّلٌ= إطَّهُّرَ

    উত্তরমুছুন
  4. ভাই প্রত্যেকটা বাবের সিগা অর্থসহ দুই তিনটে উদাহরণ দিয়ে দিতেন মানে যেমন নাসারা অর্থ সে সাহায্য করলো এইভাবে বাকি গুলো দিয়েন সবার উপকার হবে আর মাজহুলেরও অর্থসহ দেন

    উত্তরমুছুন

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.