জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা
জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা
পর্ব ৮আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করু সবাই ভালো আছেন। আজকের পর্বে আমরা জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ এর প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ।
জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ কত প্রকার কি কি
জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ দশ প্রকারের।
১) আল-আমরু الأمر বা আদেশসূচক বাক্য
আমর-أمر অর্থ আদেশ, কোনো কাজের আদেশ বুঝালে তাকে আমর বলে।অর্থাৎ যে বাক্যের দ্বারা আদেশ করা বুঝায় তাকে আমর বলে।
যেমন-إضرب (তুমি প্রহার করো)
এখানে "তুমি প্রহার কর " বলে একজনকে আদেশ করা হয়েছে।
২)النهي অর্থাৎ নিষেধসসূচক বাক্য।
আনায়ু- نهي অর্থ নিষেধ, কোনো কাজে কাউকে নিষেধ করাকে নাহি বলে। অর্থাৎ যার দ্বারা কাউকে কোনো কাজ করতে নিষেধ করা হয় তাকে নাহি বলে।
যেমন-لا تضرب (তুমি প্রহার করো না)
এখানে কাউকে কোন কাজ থেকে নিষেধ করা হয়েছে যে ' তুমি প্রহার করো না'
৩)الإستفهام অর্থাৎ প্রশ্নসূচক বাক্য
ইসতিফহাম- إستفهام অর্থ প্রশ্নবোধক, কাউকে কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করাকে إستفهام বলে। অর্থাৎ কারো কাছে কিছু জানতে চাওয়া হচ্ছে ইসতিফহাম।
যেমন-هل ضرب زيد(যায়েদ কি প্রহার করেছে?)।এখানে প্রশ্ন করে বলা হয়েছে যে 'যায়েদ কি প্রহার করেছে? অথবা কারো কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
৪) التمني অর্থাৎ আকাংঙখাসূচক বাক্য।
আত-তামান্নি- تمني অর্থ আকাঙ্খা, কোনো বাক্যে যদি আকাঙ্খা প্রকাশ করা হয় তাহলে তাকে তামান্নি বলা হয়।
যেমন-ليت زيدا حاضر(যায়েদ যদি উপস্থিত হতো) এখানে যায়েদের বিষয়ে আকাঙ্খা প্রকাশ করা হয়েছে।
৫)الترجي অর্থাৎ আশা প্রকাশ করা।
আত-তারজ্জী- ترجي অর্থ আশা প্রকাশ করা,বাক্যে কোনো বিষয়ে আশা প্রকাশ করাকে তারাজ্জী বলে।
যেমন-لعل عمروا غاءب(সম্ভবত আমর অনুপস্থিত) এখানে আশা প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, হয়ত আমর অনুপস্থিত। লাইতা আর লায়াল্লা এর মাঝে একটি পার্থক্য আছে। আপনারা যদি আমাদের চ্যানেল Fakhrul Academy থেকে হরফে মুশাব্বাহা বিল ফেয়েলের শিরোনামে দেয়া ভিডিওটি দেখে নেন তবে একদম সহজ হয়ে যাবে।
ভিডিওটি নিচে দেখুন
৬)العقود অর্থাৎ লেনদেন প্রকাশক বাক্য।
আল-উকুদ- عقود অর্থ লেনদেন, লেনদেন প্রকাশক বাক্য হলে তাকে উকুদ বলে।
যেমন- একজন বলল بعت )আমি বিক্রি করলাম) তখন অপরজন বলল إشتريت(আমি ক্রয় করলাম) এখানে এই দুটি বাক্য দ্বারা লেনদেন হয়েছে তাই এখানে উকুদ হয়েছে।
তাহলে আমারা বুঝলাম, যে বাক্য দ্বারা ব্যক্তির মাঝে লেনদেন সম্পন্ন হয় তাকে উকুদ বলা হয়।
৭) النداءঅর্থাৎ আহবান সূচক বাক্য।
আন-নিদা- نداء অর্থ আহব্বান, বাক্যে কাউকে আহব্বান করা বা ডাকাকে নিদা বলে।
যেমন-يا زيد(হে যায়েদ) এখানে যায়েদকে আহব্বান করা হয়েছে বা ডাকা হয়েছে।
৯) العرض অর্থাৎ উৎসাহসূচক বাক্য।
আল-আরদু- عرض অর্থ উৎসাহ দেয়া, বাক্যে কাউকে কোনো বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করাকে عرض বলে।
যেমন-ألا تنزل بنا فتصيب خيرا(তুমি আমাদের নিকট আসো না কেন? তাহলে তো তোমারই ভালো হবে) এখানে কাউকে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
৯) القسم অর্থাৎ শপৎ প্রকাশক বাক্য।
আল-কিসমু- قسم অর্থ শপথ করা,বাক্যে কোনো বিষয়ে শপথ করাকে ক্বসম বলে।
যেমন-والله لأضربن (আল্লাহর শপথ আমি যায়েদকে প্রহার করবই) এখানে শপৎ বা কসম প্রকাশ করা হয়েছে।
১০) التعجب অর্থৎ আশ্চর্য সূচক বাক্য।
আত-তায়াজ্জুবু - تعجب অর্থ আশ্চর্য হওয়া, বাক্যে কোনো বিষয়ে আশ্চর্য প্রকাশ করা বা হওয়া বুঝালে তাকে তাআজ্জুব বলে।
যেমন-ما احسن زيدا(যায়েদকে কিসে সুন্দর করলো) বা যায়েদ কতই না সুন্দর। এখানে আশ্চর্য প্রকাশ পেয়েছে।
জুমলায়ে ইনশািয়ার আরো কিছু প্রকার আছে সেগুলো নিচে আলচনা করা হলো।
১)الد عاء(দুয়া)
২)المدح(আল মাদহ)
৩)الذم(আয যাম)
একঃ الدعاء বলা হয় মঙ্গল/অমঙ্গল কামনা সূচক বাক্যকে।
যেমন-جزاك الله خيرا(আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন)এখানে কারো মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।
اخزاك الله
অর্থ- আল্লাহ তোমাকে অপমান করুন
এখানে কারো অমঙ্গল কামনা করা হয়েছে।
দুইঃالمدح বলা হয় যে বাক্যে প্রশংসা করা হয়।
যেমন-نعم الرجل زيد (যায়েদ কত ভালো লোক) এখানে যায়েদের প্রশংসা করা হয়েছে।
তিনঃالذم বলা হয় কারো নিন্দা বর্ননা করাকে।
যেমন- بءس الرجل بكر(বকর কত খারাপ লোক) এখানে বকরের নিন্দা বর্ননা করা হয়েছে।
আজকের পর্বের এখানেই ইতি টানছি। আগামি পর্বে মুরাক্কাবে গায়রে মুফিদ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল আর ভুল দৃষ্টিগোচর হলে শুধরে দেয়ার অনুরোধ করছি।
বিঃদ্রঃ সবাই অন্তত একটি করে জুমলায়ে ইনশাইয়ার উদাহরন দিয়ে দিয়ে যাওয়ার আহবান করছি। আশা করি অনেক বেশি উপকার পাবেন।
Very well
উত্তরমুছুনاستمر رحلتك فى ميدان النحو
উত্তরমুছুন