মুরাক্কাবে ইযাফি, তাউসিফি, মান'য়া সরফ, বিনায়ী ও সউতি কাকে বলে উদাহরণ
মুরাক্কাবে ইযাফি, তাউসিফি, মান'য়া সরফ, বিনায়ী ও সউতি কাকে বলে উদাহরণ
পর্ব ১০
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা! আশা করি সবাই ভালো আছেন। নাহু সরফ শিক্ষা নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা পর্বের আজকের পর্বে থাকছে বিভিন্ন প্রকার মুরাক্কাবের আলোচনা।
মুরাক্কাবগুলোর আলোচনা-
১)মুরাক্কাবে ইযাফি مركب إضافي
মুরাক্কাবে ইযাফি বলা হয় একটি ইসমকে অন্য আরেকটু ইসমের সাথে সম্বন্ধ করাকে,অর্থাৎ কোনো ইসমকে অন্য একটি ইসমের সাথে সম্বন্ধ করে যুক্ত করাকে মুরাক্কাবে ইযাফি বলা হয়।
যেমন-غلام زيد (যায়েদের গোলাম)
এখানে গোলামকে যায়েদের সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে।
আর যাকে সম্বন্ধ করা হয় তাকে مضاف বলা হয় উপরের উদাহরনে গোলামকে যায়েদের সাথে সম্বন্ধ করা হয়েছে তাই গোলামটি مضاف হয়েছে।
আর যার দিকে সম্বন্ধ করা হয় তাকে مضاف اليه বলে উপরের উদাহরনে যায়েদর দিকে গোলামকে সম্বন্ধ করা হয়েছে তাই যায়েদটি مضاف اليه হয়েছে।
২) মুরাক্কাবে তাউসিফি مركب توصيفي
মুরাক্কাবে তাওসীফি বলা হয় যে মুরাক্কাব موصوف(যার সম্পর্কে গুন বর্ণনা করা হয়) এবং صفة(গুন বর্ণনা) মিলে গঠিত হয়।
যেমন-رجل صالح (একজন জ্ঞানী লোক) এখানে رجل টি মাওসুফ কারন এখানে তার গুন বর্ননা করা হয়েছে। আর عالم টি সিফাত কারন এর দ্বারা গুন বর্ননা করা হয়েছে।
৩)মুরাক্কাবে বিনায়ী مركب بناءي
মুরাক্কাবে বিনাইয়্যি বলা হয় দুটি ইসম কে এমনভাবে একত্র করা হয় যে দ্বিতীয় ইসমটিতে একটি হরফ গোপন থাকে।
যেমন-احد عشر(আহাদা আশারা) এখানে عشر তথা দ্বিতীয় ইসমটিতে একটি হরফ গোপন আছে যার মূলরুপ হলো احد و عشر(আহাদুন ওয়া আশারুন)احد عشر থেকে تسعة عشر পর্যন্ত সবগুলো একই রকম
৪) মুরাক্কাবে মান'য়া সরফ مركب منع صرف
মুরাক্কাবে মানয়ু সরফ বলা হয় দুটি ইসম এমন ভাবে একত্র করা হয় যে দুটি ইসমের মাঝে কোনো হরফ গোপন থাকে না।
যেমন-بعلبك(একটি শহরের নাম)بعل(বা'লা)একটি ইসম যা একটি মূর্তির নাম আর بك(বাক্কু)ও একটি ইসম যা একজন বাদশার নাম।
এই দুটি ইসমকে এমন ভাবে মিলানো হয়েছে যে মাঝখানে কোন হরফ গোপন নেই এবং এটি একটি শহরের নামে রুপান্তর হয়েছে।
৫) মুরাক্কাবে সউতি مركب صوتي
মুরাক্কাবে সওতি বলা হয় যে মুরাক্কাব صوت(আওয়াজ)ও অন্য একটি ইসমের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
যেমন-سيبويه(সি'বাওয়াইহ) এখানে سيب একটি ইসম আর ويه একটি আওয়াজ এই দুটি মিলে মুরাক্কাবে সওতি হয়েছে।
উল্লেখ্য-মুরাক্কাবে গায়রে মুফিদ কখনো পূর্ণ বাক্য হয়না, তাই এটা কোনো খবর বা তলব কিছুই বুঝায় না; বরং এটা পূর্ণ বাক্যের একটি অংশ হয়।
ভুল ক্রুটি ক্ষমার চোখে দেখার অনুরোধ এবং শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ হবো।
আগামি পর্বে জুমলার গঠন সম্পর্কে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
বিঃদ্রঃ সবাই মুরাক্কাবে গায়রে মুফিদের ১টি করে উদাহরন দিয়ে যান।
কোন মন্তব্য নেই