মুসনাদ ও মুসনাদ ইলাইহি কাকে বলে উদাহরণ সহ আলোচনা
মুসনাদ ও মুসনাদ ইলাইহি কাকে বলে উদাহরণ সহ আলোচনা
পর্ব-১১
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা! নাহু সরফ আলোচনার ধারাবাহিক পর্বে আজ থাকছে বাক্য গঠনের নিয়ম।
বাক্য বা জুমলার গঠন সম্পর্কে আলোচনা-
সবার এই বিষয়টি বাংলা ও ইংরেজিতে জেনে নিলে সহজ হবে। এটা তাদের বুঝার সুবিধার্থে বলেছি যারা বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ সম্পর্কে ধারণা রাখেন।
আরবিতে যাকে মুসনাদ ইলাইহি বলা হয় তাকে বাংলায় বলা হয় উদ্দেশ্য আর ইংরেজিতে বলা হয় সাবজেক্ট।
আরবিতে যাকে বলা হয় মুসনাদ বাংলায় তাকে বলা হয় বিধেয় এবং ইংরেজিতে বলা হয় প্রেডিকেট।
প্রত্যেকটি জুমলাতে কমপক্ষে দুটি كلمة থাকে, তন্মধ্যে একটি مسند اليه হয় আরেকটি হয় مسند,আর মুসনাদ ও মুসনাদ ইলাইহি ছাড়া পরিপূর্ণ জুমলা বা বাক্য হয় না,আর অধিকাংশ সময় এই দুটি প্রকাশ্য হয়।
যেমন-
উদাহরণ এক- ضرب زيد (যায়েদ প্রহার করলো)এখানে زيد টি হবে مسند اليه আর ضرب টি হবে مسند।
উদাহরণ দুই-زيد قاءم এখানে زيدটি مسند اليه আর قاءمটি মুসনাদ।
কখনো কখনো মুসনাদ ইলাইহি অথবা মুসনাদ অপ্রকাশ্য হয়।
যেমন-إضرب(তুমি প্রহার করো) এখানে إضرب ফেলের মাঝে انت যমিরটি অপ্রকাশ্য আছে। আর এই انت যমিরটিই মুসনাদ ইলাইহি।
জুমলাতে দুইয়ের অধিক কালিমা হতে পারে। তাই যত বেশী কালিমা হোক না কেন এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কালিমা যদি বেশী হয়ে যায় তাহলে মুসনাদ ও মুসনাদ ইলাইহি সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই মুসনাদ ও মুসনাদ ইলাইহি সনাক্ত করার জন্য জুমলাটিতে ব্যবহৃত কালিমাগুলোর কোনটি اسم আর কোনটি فعل আর কোনটি হরফ সেটি নির্ণয় করতে হবে,
তারপর কোনটি معرب আর কোনটিمبني এবং কোনটি عامل আর কোনটি معمول তা নির্ধারন করতে হবে।
তাহলে এক কালিমার সাথে অন্য কালিমার সম্পর্ক কিরুপ তা জানা যাবে। ফলে কোনটি মুসনাদ ইলাইহি আর কোনটি মুসনাদ তা খুব সহজেই জানা যাবে।
আগামি পর্বে معرب এবং مبني সম্পর্কে আলোচনা হবে ইন শা আল্লাহ।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন এবং অবগত করবেন।
জাযাকাল্লাহ
উত্তরমুছুনএটার আগের পাট কোথায় পাব?
উত্তরমুছুন