মুরাব কাকে বলে কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা।

মুরাব কাকে বলে কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা।

মুরাব মাবনী কাকে বলে কত প্রকার কি কি,  ইসমে মুরাব, murab mabni,  isme murab,  Arabic grammar,  irab in Arabic grammar in bangla

পর্ব ১৩

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় ইনফোবিডি২৬৬বাসী! আশা করি সবাই ভালো আছেন।  আরবি শিক্ষার আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করব মুরাব মাবনী নিয়ে। মুরাব মাবনী কাকে বলে কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা।


আমরা জানি আরবি বাক্যের শেষে কিছু শব্দ শুরুতে আমেলের বিভিন্নতার কারণে পরিবর্তন হয় আবার কিছু আছে পরিবর্তন হয় না।


সুতরাং বলা যায় বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দের শেষে পরিবর্তন হওয়া বা না হওয়ার দিক থেকে দুই প্রকার।
যথা-

একঃ اسم معرب  (ইসমে মুরাব)
দুইঃاسم مبني (ইসমে মাবনি)


ইসমে মুরাব কাকে বলে




একঃ (اسم معرب) ইসমে মুরাব বলা হয় عامل (আমেল)এর পরিবর্তনের কারনে যে ইসমের শেষে إعراب এর পরিবর্তন হয় তাকে ইসমে মুরাব বলে।

আমেল কাকে বলে 


আমেল বা আমলকারী যা কোন শব্দের শুরুতে এসে শব্দের শেষে হরকত কিংবা হরফের পরিবর্তন করে তাকে আমেল বলে।

যেমন-جاء زيد (জা''আ যায়দুন) এখানে زيد শব্দের শেষ বর্ণ দাল, এই দালের উপর দুই ضمة(পেশ)দিয়েছে جاء ফেল, এবং ফেয়েলটি زيد শব্দের শুরুতে এসেছে। সুতরাং বলা যায়, এজন্য جاء শব্দ টি عامل হয়েছে বা আমলকারী বা পরিবর্তনকারী।


সুতরাং আমরা ইসমে মুরাব কে এভাবে বলতে পারি, যে শব্দের শেষে হরকত কিংবা হরফের পরিবর্তন হয় তাকে ইসমে معرب বলে।

উল্লিখিত উদাহরনে زيد শব্দটি ইসমে معرب কারন এর মাঝে হরকতের পরিবর্তন হয়েছে।


ইরাব কাকেবলে  


শব্দের শেষে যে চিহ্নের দ্বারা হরকত অথবা হরফের পরিবর্তন হয়, তাকে ইরাব বলে।

উল্লিখিত উদাহরনে زيد এর د বর্ণটির  উপরে দুই ضمة হলো ইরাব কারন এখানে হরকত তথা দুই পেশ হয়েছে উক্ত চিহ্নের মাধ্যমে।

আবার رأيت عمرا (র'আইতু উমরান) উদাহরণ এর عمرا শব্দের শেষ বর্ণ ر এর উপরে দুই فتحة (যবর)টি হলো ইরাব।

আবার مررت بزيد (মাররতু বিযাইদিন) উদাহরণ এর زيد শব্দের শেষ বর্ণ  د এর নিচে দুই كسرة (যেরটি)হলো ইরাব।


মুহল্লে ইরাব কাকে বলে 


যে অক্ষরে হরকতের বা হরফের পরিবর্তন হয় তাকে محل إعراب (মহল্লে ইরাব) বা ইরাবের স্থান বলে।উপরের উদাহরনে زيد শব্দের د বর্ণ টি হলো মহল্লে ইরাব কারন এর মাঝে পরিবর্তন হয়েছে।


তবে সাধারণত যখন কোনো শব্দ বা বাক্যের উপর ইরাব হয় এবং মাবনী হওয়ার কারণে তার পরিবর্তনটা দেখা যায়না তখন সেই ইরাবের স্থানকে মহল্লে ইরাব বলা হয়।


ইসমে মুতামাক্কিন কাকে বলে


ইসমে মুরাবের অপর নাম হচ্ছে اسم متمكن।

শব্দগত দিক থেকে মুরাব দুই প্রকার যথা-
একঃاسم معرب (ইসমে মুরাব)
দুইঃفعل معرب(ফেয়েলে মুরাব)


ফেয়েলে মুরাব কাকে বলে কত প্রকার 


ফেয়েলে মুরাব (فعل معرب) এর আলোচনা-

ফেলে মুরাব বলা হয় عامل এর বিভিন্নতার কারনে যে ফেলের إعراب  পরিবর্তিত হয় তাকে ফেলে মুরাব বলে।

যেমন-ينصر.لن ينصر .لم ينصر এখানে প্রথম উদাহরনে ينصر এর মাঝে পেশ হয়েছে আর এর আমেল হলো ইবতেদা।ইবতিদা মানে হচ্ছে শুরু। যার কোনো আমেল নেই। এরকম হলে রফা বা পেশ হয়।

দ্বিতীয় উদাহরণে ينصر এর মাঝে যবর হয়েছে,আর এর আমেল হলো لن।

তৃতীয় উদাহরণে ينصر এর শেষে সাকিন হয়েছে আর এর আমেল হলো لم।

ফেয়েলে মুরাব মূলত ফেয়েলে মুদারে ।  এখান থেকে পাঁচটি ভাগ করা হয়।

ফেয়েলে মুরাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।


উল্লেখ্য- ইতোমধ্যে عامل ও إعراب এর আলোচনা গত হয়েছে।


মাবনী সম্পর্কে  আলোচনা আগামি পর্বে বর্ণনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।


ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল সাথে সাথে শুধরে দিলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব।

1 টি মন্তব্য:

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.