আরবি বাক্য, জুমলা বা মুরাক্কাবে মুফীদ কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ আলোচনা

আরবি বাক্য, জুমলা বা মুরাক্কাবে মুফীদ কত প্রকার কি কি উদাহরণ সহ আলোচনা 

পর্ব ৬ষ্ঠ
Arabic grammar, আরবি ব্যাকরণ শিক্ষ,  আরবি বাক্য কাকে বলে,  আরবি বাক্য কত প্রকার কি কি উদাহরণ


আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা নাহু সরফ বা ইলমুন নাহু এর ধারাবাহিক আলোচনা পর্বের আজকের পর্বে থাকছে মুরাক্কাবে মুফীদ এর প্রকার বিস্তারিত আলোচনা।
তাহলে চলুন শুরু করি  مركب مفيد এর প্রকার সম্পর্কে আলোচনা


মুরাক্কাবে মুফীদ এর অপর নাম কি


মুরাক্কাবে মুফীদ যেহেতু বক্তার মনের সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে সুতরাং মুরাক্কাবে মুফিদকে বাক্য বা جملة বলা হয়।


আরবি বাক্য বা জুমলা কত প্রকার কি কি


আরবি বাক্য বা জুমলা প্রথমত ২প্রকার

যথা-
একঃ جملة خبرية(জুমলায়ে খবরিয়াহ)

দুইঃ جملة إنشاءية(জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ)


একঃ جملة خبرية বা জুমলায়ে খবরিইয়াহ কাকে বলে


জুমলায়ে খবরিইয়াহ বলা হয় যে বাক্যের ব্যাপারে বক্তাকে সত্যবাদি অথবা মিথ্যাবাদি সাব্যস্ত করা যায়,


অর্থাৎ বক্তা কোনো একটা কথা বললে ঐ কথাটি সত্য অথবা মিথ্যা হতে পারে, অর্থাৎ সত্য বা মিথ্যা বলার অবকাশ থাকে। এমন বর্ণনামূলক বাক্যকে জুমলায়ে খবরিইয়াহ বলা হয়।


যেমন-
زيد عالم(যায়েদ জ্ঞানীল)
ضرب زيد عمروا
(যায়েদ আমরকে প্রহার করছে)


আপনারা দেখতে পাচ্ছেন,উপরের দুটি বাক্য সত্যও হতে পারে অথবা মিথ্যাও হতে পারে, যদি এই বাক্য দুটি সত্য প্রমাণিত হয়ে যায় তাহলে মিথ্যা হওয়ার অবকাশ থাকবে না, আর যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে যায় তাহলে সত্য হওয়ার অবকাশ থাকে না।

সুতরাং এরকম সত্য বা মিথ্যা বলার সুযোগ থাকলে তাকে জুমলায়ে খবরিইয়াহ বলা হবে।

দুইঃ

জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ جملة إنشاءية কাকে বলে 


জুমলায়ে ইনশাইয়্যাহ جملة إنشاءية বলা হয় যে বাক্যের ব্যপারে বক্তাকে সত্যবাদি অথবা মিথ্যাবাদি বলে সাব্যস্ত করা যায় না।

অর্থাৎ বক্তা কোনো কথা বললে কথাটি সত্য অথবা মিথ্যা হওয়ার অবকাশ থাকে না।

যেমন-
إضرب عمروا(আমরকে প্রহার করো)

এই বাক্যটি সত্য অথবা মিথ্যা হওয়ার অবকাশ থাকে না,যার কারণে এটি জুমলাশে ইনশাইয়াহ হয়েছে।


জুমলা বা আরবি বাক্য সম্পর্কে আরো কিছু আলোচনা


আমরা বাংলায় জানি বাক্য বলা হয় যখন কোনো ব্যক্তি মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারে তাকে বাক্য বলে।

অনুরূপ ভাবে জুমলা বলা হয়, বক্তা যখন তার মনের ভাব সম্পূর্ন ভাবে প্রকাশ করতে পারে তাকে বাক্য বা মুরাক্কাবে মুফীদ বলা হয়।

যা মুরক্কাবে গায়রে মুফিদ দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব হয়না।


আরবি বাক্যের উদ্দেশ্য বিধেয় নির্ণয় কীভাবে করবেন

আমরা জানি বাংলা, ইংরেজি ও অন্য যে কোনো ভাষায় বাক্যের দুটি অংশ থাকে।

বাংলায় যাকে উদ্দেশ্য বলে আরবিতে তাকে মুসনাদ ইলাইহ (مسند اليه) বলে।


আবার বাংলায় যাকে বিধেয় বলে আরবিতে তাকে মুসনাদ (مسند)  বলে।

আরবি জুমলাতে দুটি অংশ থাকে।
যথা-
১ঃمسند اليه(মুসনাদ ইলাইহি)
২ঃ مسند(মুসনাদ)


একঃمسند اليه বলা হয় যে জুমলাতে কারো
সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করা হয়।

যেমন- زيد عالم এর অর্থ যায়েদ জ্ঞাণী, এখানে যায়েদ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে যে সে জ্ঞাণী, এজন্য যায়েদ مسند اليه হবে।


দুইঃمسند বলা হয় مسند اليه সম্পর্কে যা বর্ণনা করা হয়।

যেমন- উপরের উদাহরণে عالم শব্দটি মুসনাদ কারন এটি দ্বারা যায়েদের সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে,এজন্য এটি مسند হবে।


মুসনাদ ও মুসনাদ ইলাইহ এর অপর নাম কি



মুসনাদ ইলাইকে আবার محكوم عليه (মাহকুম আলাইহি) আর মুসনাদকে محكوم به বলা হয়।

জানার বিষয় হচ্ছে, ইসম বা নাম মুসনাদ এবং মুসনাদ ইলাহি উভয়টি হতে পারে ,

যেমন-زيد عالم আর فعل শুধু মুসনাদ হতে পারে মুসনাদ ইলাইহ হতে পারেনা,
যেমন-ضرب زيد এখানে শুধু যায়েদ মুসনাদ আর ফেয়েলটি মুসনাদ বা মুসনাদ ইলাইহি কোনোটি হয়নি।

আর حرف কোনটিই হতে পারে না।

ইন শা  আল্লাহ আগামি পর্বে জুমলায়ে খবরিয়াহ এর প্রকার সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।


আশা করি আপনারা আমার লেখায় ভুল ক্রটি হলে ক্ষমার চোখে দেখবেন এবং ভুলগুলো কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।


বিঃ দ্রঃ আপনাদের জন্য একটি কাজ আছে তা হলো,
সবাই জুমলায়ে খবরিয়ার পাঁচটি করে উদাহরণ দিন। ফলে আপনারাও উপকৃত হবেন।

1 টি মন্তব্য:

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.