কিডনিতে পাথর : কিডনি সমস্যা হয় কেন পাথর হলে করনীয়
কিডনিতে পাথর : কিডনি সমস্যা হয় কেন পাথর হলে করনীয়
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক। আজ আমরা জানব বর্তমানে খুব বেশি আলোচিত একটি রোগ সম্পর্কে। তা হচ্ছে পেটে পাথর। শুধু পেটে বলা ঠিক হবে না। এখন কিডনিতে পাথর হচ্ছে, মূত্রনালিতে পাথর হচ্ছে। পেটের ভেতর বিভিন্ন স্থানে পাথর হচ্ছে। আজ আমরা জানব পাথর কেন হয়? পাথর হওয়ার লক্ষণ কি, কিডনিতে বা পেটে পাথর হলে কি করা উচিৎ বা করণীয় কি। একবার পাথর হলে আবার পেটে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিন? পাথর কি শুধু বড়দের হয় নাকি যে কোনো বয়সের লোকদের পেটে পাথর হতে পারে? পেটে পাথর হলে কি অপারেশন করতে হয়? কিডনি সুস্থ রাখতে কি কি করা উচিৎ বা করণীয় কি? এসব বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানব আজকের লেখা থেকে। চলুন তাহলে মূল আলোচনা শুরু করি।
কিডনির কাজ কি কি
শরীরের রক্ত পরিশোধনকারী অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। এই কিডনি মূলত আমাদের শরীরে প্রবেশ করা সকল ময়লা আবর্জনা বা অখাদ্য গুলো ছাঁকনির মত করে ছেঁকে ময়লা গুলো আলাদা করে দেয় আর শরীরের জন্য উপকারী পদার্থ জমা করে রাখে। এখন এই অঙ্গটি যদি কোনো ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়ে পড়ে তাহলে সারা শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। তাই কিডনির প্রতি যত্নশীল হতে হবে। অন্যথায় শরীর এর জন্য খুব ক্ষতি ডেকে আনবে। দেশে দিন দিন কিডনি সমস্যা বেড়েই চলছে।
কিডনির যত্নে করণীয় বা কিডনি সুস্থ রাখতে করনীয়
কিডনির যত্নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে খাওয়া দাওয়া ঠিক করা। এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যা কিডনিতে পাথর জমতে সহায়তা করে।
- কাঁচা লবন
যেমন আমাদের মধ্যে অনেক প্রচুর কাঁচা লবন খেতে পছন্দ করেন। কাঁচা লবনে সোডিয়াম থাকে যা কিডনিতে জমা হয়ে থাকে। এভাবে দীর্ঘ দিন জমতে জমতে কিডনিতে পাথর হয়ে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত সোডিয়াম জাতীয় খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব খাবার কিডনিতে পাথর জমতে সহায়তা করে।
- প্রচুর পানি পান করা
কিডনি মূলট আমাদের গ্রহণ করা খাদ্যকে ছেঁকে বিষাক্ত জিনিসগুলো আলাদা করে ময়লার পথে ছেড়ে দেয়। আর এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে পানির মাধ্যমে। তাই আমরা যদি প্রচুর পরিমানে পানি পান করি তাহলে টক্সিগুলো আলাদা করতে কিডনির জন্য সহজ হয়। এবং কোনো ময়লা কিডনিতে জমতে পারে না। পাথর হওয়ার ঝুঁকিও থাকে না। তবে একেবারে অতিরিক্ত পানি পান করাও কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
- তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়া।
অতিরিক্ত ভাজা পোড়া না তৈলাক্ত খাবার গ্রহণ না করা। এর ফলে কিডনিতে চাপ হয়। এই ধরনের খাবারে অনেক সময় গ্যাসটিক জনিত সমস্যা বেড়ে যায়। তাই এসব খাবার কম খাওয়া ভালো।
- দীর্ঘ সময় পেশাব পায়খানা আটকে না রাখা
আমাদের অনেকের বদ অভ্যাস আছে পেশাব পায়খানার চাপ হলেও আমরা না গিয়ে আটকে রেখে বসে থাকি বা অন্যান্য কাজ করে যাই। কিডনির জন্য এটি অনেক খারাপ কাজ, তাই পেশাব পায়খানা আটকে না রেখে তা যথা সময়ে ত্যাগ করা উচিৎ। অন্যথায় কিডনিতে পাথর হওয়া সহ অন্যান্য কিডনি রোগ হতে পারে পারে। অতিরিক্ত পেশাব এর চাপ মানে বার বার হলে ডাক্তার দেখানো উচিৎ।
- ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া।
বেশি বেশি ভিটামিন সি টাইপের খাবার খেতে হবে, যেমন লেবু, আমলকী, আমড়া ইত্যাদি। যদি এসব খাবার প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখা হয় আশা করি কিডনি জনিত রোগ থেকে আল্লাহ তায়ালা মুক্ত রাখবেন ইন শা আল্লাহ।
- মাঝে মাঝে শারীরিক চে-আপ করা
বছরে অন্তত একবার প্রস্রাবের জন্য মাইক্রো এলবুমিন টেস্ট করাতে হবে। নিজের স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলত আপনাকে বিভিন্ন জটিল সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে পারে।
আমাদের ব্লগে লেখা পাঠিয়ে টাকা আয় করতে যোগাযোগ করুন।
উত্তরমুছুনকিডনি রোগ একটি নীরব শিকারী, প্রায়ই অপরিবর্তনীয় ক্ষতি না হওয়া পর্যন্ত নীরবে অগ্রসর হয়। তাই প্রাথমিক লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন হওয়া কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিবন্ধটি কার্যকরভাবে সাধারণ উপসর্গগুলি হাইলাইট করে যেমন ক্রমাগত ক্লান্তি, পা এবং গোড়ালিতে ফোলাভাব, প্রস্রাবের ধরণে পরিবর্তন এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি। কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সবার পক্ষে এই চিকিৎসা ব্যয় পরিচালনা সম্ভব হয় না। তবে সচেতন থাকলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মত দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে। এতে কিডনি রোগের লক্ষণ দেখা দিলে আপনি দ্রুতই সঠিক চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন।