ট্রাজেডি ষড়ঙ্গ শিল্পের কাহিনী বলতে কি বুঝায় কাহিনীর গঠন বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা কর।

 ট্রাজেডি ষড়ঙ্গ শিল্পের কাহিনী বলতে কি বুঝায় কাহিনীর গঠন বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

                              

ট্রাজেডির ষড়ঙ্গের প্রথম অঙ্গ হল প্লট বা কাহিনী। এই প্লটকে এরিস্টোটল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন এবং প্লটকে বলেছেন ট্রাজেডির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কাহিনী বলতে তিনি 'ঘটনাবলির সুশৃঙ্খল বিন্যাসকেই' বুঝিয়েছেন।এরিস্টোটল কাহিনী বা প্লট বলতে যা বুঝিয়েছন বা যেসব কথা বলেছেন নিম্নে সে  সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-


কাহিনি বা প্লটঃ- 


কাহিনী বলতে বোঝাচ্ছি ঘটনার সজ্জা'
ইংরেজিতে 'প্লট' শব্দটির দ্বারা যা বোঝায় তাকেই এরিস্টটল কাহিনী বলেছেন।গ্রিক শব্দটি হল 'মুথোস'।।

এরিস্টটল স্পষ্ট করে বলেছেন-' এই সব উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ঘটনার সজ্জা।কারণ ট্রাজেডি মানুষের অনুকরণ নয়,ট্রাজেডি একটি ক্রিয়ার অনুকরণ, জীবনের সুখ দুঃখের অনুকরণ -আর এই সব কিছুই ক্রিয়ার অন্তর্গত।' এই উক্তি থেকে বোঝা যাচ্ছে-ট্রাজেডির বিষয়বস্তু যে আখ্যানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে সেই আখ্যানকেই ট্রাজেডির সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে মনে করেছেন এরিস্টটল।


রচনার প্রথম ও প্রধান কাজ কাহিনি নির্মাণ। কাহিনী কে ট্রাজডির আত্মা বলা হয়ে থাকে।গ্রিক ট্রাজেডি পরম্পরাগত গল্প নির্ভর,সেই জন্য বিশেষ সতর্ক করে দিয়েছেন এরিস্টটল,কাহিনীর আরম্ভ হবে এমন একটি বিন্দু থেকে যার পূর্ববর্তী ঘটনা জানা আমাদের পক্ষে আবশ্যিক নয়।অর্থাৎ কাহিনী বা প্লটের আরম্ভ যে গল্পের শুরু থেকেই হবে এমন কোনো অর্থ নেই।

অতঃপর সপ্তম পরিচ্ছেদ এরিস্টোটল এই কাহিনীর গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কাহিনীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি যা যা বলেছেন তা আমরা সুশৃঙ্খল ভাবে বিন্যস্ত করে উপস্থিত করছি।

ক)আয়তনঃ-

সর্বপ্রথম অ্যারিস্টোটল বলেছেন কাহিনীর একটি বিশেষ আয়তন আছে। এই আয়াতন অতি ক্ষুদ্র বা অতি বৃহৎ হওয়া উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন। কেননা মানুষের স্বভাবগত সৌষম্যবোধ,যার উপর সৌন্দর্য নির্ভরশীল তা ট্রাজেডির উদ্ভবের অন্যতম কারন।
অতিক্ষুদ্র বা অতি বৃহৎ কোন জন্তু সুন্দর নয় কারণ অতি ক্ষুদ্র বস্তু আমাদের দৃষ্টির বিভ্রান্তি ঘটায় আবার অতিশয় বৃহৎ ধরা যাক 'হাজার মাইল লম্বা একটি জন্তু' একেবারে সম্পূর্ণ ভাবে দেখা যায় না ফলে হারিয়ে যায় সমগ্রতার আবেদন।


এরিস্টটল বারবার কাহিনী প্রসঙ্গে জীবদেহের উপমা নিয়ে এসেছেন। তাঁর উক্তি - কাজেই জীবজন্তু এবং অন্যান্য জৈব গঠনের থাকা দরকার একটি বিশেষ আয়তন সহজেই যেন তা আমাদের দৃষ্টি পথের আয়ত্ত হয়। কাহিনী সম্পর্কেও সেই কথাঃতার দৈর্ঘ্য থাকবে অবশ্যই, কিন্তু তা যেন স্মৃতির আয়ত্তাধীন হয় (যেন সহজে মনে রাখা যায়)।" [সপ্তম পরিচ্ছেদ]


এরিস্টোটল একথা বলেছেন যে একটি কাহিনী পাঠক বা দর্শকের স্বাভাবিক স্মৃতিতে থাকার মত আয়তনের পরিসীমার মধ্যে থাকা উচিত। আয়তন এর দৈর্ঘ্য নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি ছিল না। তিনি বলেছেন কাহিনীর আয়তন দীর্ঘ হওয়াই ভাল কিন্তু তার মধ্যে সমগ্রের ঐক্যবোধের উপলব্ধি থাকতে হবে।

এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেছেনঃ
"যে দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্ভাব্য এবং প্রয়োজনীয় ঘটনা পরম্পরার মধ্য দিয়ে দুঃখ থেকে সুখ এবং সুঃখ থেকে দুঃখের পরিবর্তন দেখানো হয় সেই দৈর্ঘ্যই আয়তনের  যথার্থ সীমা।"


খ)সমগ্রতাঃ-

কাহিনীর আদি, মধ্য ও শেষ অংশের মধ্যে সমন্বয় থাকবে। যেকোনো উপাখ্যান বা পৌরাণিক আখ্যান থেকে কোন খন্ডাংশ গ্রহণ করলেও যেন কাহিনী সম্পূর্ণ বলে মনে হয়। এরিস্টোটল কাহিনীর গঠন সম্পর্কে বিশেষ ভাবে বলেছেন যে এই গঠন হবে সমগ্র। "সমগ্র হলো সেই জিনিস যার আদি আছে, মধ্য আছে, আর আছে শেষ,যা কোন কিছুর পরবর্তী নয়, কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই যার পরে কিছু আছে তাহল আদি  আবার যা অনিবার্যভাবে কোন কিছুর পরবর্তী, কিন্তু তারপরে আর কিছু নেই, তা হলো শেষ। আর মধ্য হলো যা কোন কিছুর পর পরবর্তী, কিন্তু তারপরেও আর কিছু আছে।সুতরাং সুনির্মিত কাহিনীর আদি ও অবসান এলোমেলোভাবে হবে না।" [সপ্তম পরিচ্ছেদ]

গ)ঐক্যঃ

কাহিনীর ঐক্য  ট্রাজিক নাটকের কাহিনী নির্মাণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যিক বিধি। অষ্টম পরিচ্ছেদে এরিস্টোটল কাহিনীর ঐক্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। ইংরেজিতে ঐক্য বলতে বুঝায় 'ইউনিটি অফ একশন'।
এরিস্টটল বলেছেন যে, বহু ঘটনার মধ্য থেকে নাটককার তার অভিপ্রায় অনুসারে ট্রাজেডির প্লট এর জন্য কিছু ঘটনা বা ক্রিয়া নির্বাচন করে নেবেন। তিনি কেবল সেই ঘটনাগুলোই গ্রহণ করবেন এবং তাদের সজ্জিত করবেন যা তার ট্রাজেডির  অভিপ্রায়ের পক্ষে অপরিহার্য। তার ফলে সব গুলি ক্রিয়া মিলিয়ে একটি ক্রিয়া গড়ে উঠবে।


★অ্যারিস্টোটল কাহিনীর ঐক্য  সম্পর্কে বলেছেন-

"এটি একটি ক্রিয়ার অনুকরণ- সে ক্রিয়াটি হবে একক এবং সমগ্র, তার অন্যান্য অংশগুলি এমনভাবে সাজানো হবে যে, তাদের একটিকেও  যদি পরিবর্তিত করা হয়, বা পরিত্যাগ করা হয়, তাহলে সমস্ত কাহিনীটিই হবে বিচ্যুত এবং বিধ্বস্ত, কারন যদি কোনো ঘটনার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি কাহিনীর মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি না করে, তাহলে বুঝতে হবে তা কাহিনী সমগ্রতার যথার্থ অঙ্গ নয়। [অষ্টম পরিচ্ছেদ]


অ্যারিস্টোটলের ট্রাজেডির আলোচনায় ত্রি-ঐক্য যথাঃ ঘটনার ঐক্য, স্থানের ঐক্যে,ও কালের ঐক্যের কথা বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।তিনি ঘটনার ঐক্য সম্পর্কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন।

ঘ)বিপ্রতীপতা ও উদঘাটনঃ


ট্রাজেডির কাহিনীতে, এবং বৃহত্তর অর্থে যে কোন নাটকের কাহিনীতে দুটি লক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।সেটি হল বিপ্রতীপতা এবং উদঘাটন।


বিপ্রতীপতাঃ

বিপ্রতীপতা শব্দটি গ্রিক পরিভাষা হলো 'পেরিপেতি'(Peripetia) যার অর্থ পরিস্থিতি বিপর্যয়। সহজভাবে বিষয়টিকে 'কাহিনীর ভিন্নমুখী গতি' বলা যেতে পারে।এরিস্টোটল তার রেটোরিব গ্রন্থে বলেছেন-আকস্মিকভাবে ভাগ্যের পরিবর্তন হল পেরিপেতি।ট্রাজেডির কাহিনীতে দেখা যায় কাহিনী একমুখে প্রবাহিত হতে হতে কোন ঘটনার ফলে প্রবাহিত হয়। সেখানে সুখের পরিস্থিতি থেকে ঘটনা-ধারা দুর্ভাগ্যের অভিমুখে পরিবর্তিত গতিতে অগ্রসর হবে। একেই বলা হয় কাহিনির বিপ্রতীপতা।


ট্রাজেডি তে এই বিপ্রতীপতাই ট্রাজিক পরিণতির প্রথম সূচক।বিপ্রতীপতা ছাড়ার ট্রাজেডি ঘটা সম্ভব নয়। আপাতদৃষ্টিতে বিপ্রতীপতার মূলেএকটি আকস্মিক ঘটনা থাকলেও ট্র্যাজেডির অনুসরণে দেখা যায় যে, সেখানে সেই পরিবর্তন বা বিপ্রতীপতার বীজ  ছিল অনিবার্য এবং সম্ভাব্য।

উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি যে, রাজা ইডিপাস নাটকের
যখন সিংহাসনে সু-প্রতিষ্ঠিত ইডিপাস দেশে মড়ক লাগলো কেন তার সন্ধান সূত্রে রাজার হত্যাকারী কে এই অনুসন্ধানে বের হলেন তিনি তখন জানতে পারেন তিনি হচ্ছেন হত্যাকারী, আর তখনই কাহিনীর মধ্যে  বিপরীত গতি সূচিত হয়।

উদঘাটনঃ

বাংলায় যাকে আমরা উদঘাটন বলে থাকি,ইংরেজিতে তাকে বলা হয়েছে 'ডিসকভারি' তা হলো অজ্ঞাত অবস্থা থেকে জ্ঞাত অবস্থায় উপনীত হওয়া। ট্রাজেডির প্লট্র প্রায়ই দেখা যায়, কোন একটি তথ্য গোপন আছে। সে গোপন তথ্যটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে প্লটের গতিমুখ নির্ভর করছে তার ওপর। একসময় গোপন তথ্য উদঘাটিত হয় উদঘাটনের ফলে সুনিশ্চিত হয়ে যায় ট্রাজেডির পরিণাম। অবশ্য সব ট্রাজেডিতেই যে উদঘাটন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয় এমন নয়।


উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি যে, রাজা ইডিপাস নাটকের উদঘাটনের সুনিপুণ বিন্যাস আছে।কে রাজার হত্যাকারী এই গোপন তথ্যটি যখন সকলের সামনে চলে আসে তখন থেকেই ইডিপাসের দুর্ভাগ্যের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয়।

ঙ)গ্রন্থিবন্ধন ও গ্রন্থিমোচনঃ

এরিস্টোটল বলেছেন সব ট্রাজেডিতেই থাকে গ্রন্থিবন্ধন। তাঁর উক্তি হলো-

" আমি বলতে চাই, কাহিনীর শুরু থেকে ভাগ্য পরিবর্তনের সূচনা পর্যন্ত,অর্থাৎ  সৌভাগ্য থেকে দুর্ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য থেকে সৌভাগ্যের সূচনা পর্যন্ত হলো গ্রন্থিবন্ধন এর পর্ব। আর ভাগ্য-পরিবর্তনের সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত হল গ্রন্থিমোচন এর পালা। " [অষ্টাদশ অধ্যায়]


কাহিনির সূত্রপাত থেকে শুরু করে যখন থেকে প্লটের ঘটনা-গতি শুরু হয়েছে,সেই অংশ পর্যন্ত গ্রন্থিবন্ধন। অর্থাৎ নাটকের ক্রিয়া শুরু হবার আগে পর্যন্ত নাটক কাহিনীতে যা কিছু ঘটেছে এবং চরিত্রগুলোর সম্পর্ক নির্ণীত হয়েছে তাই হলো গ্রন্থিবন্ধন। যেখান থেকে নাট্য কাহিনীতে গতি পরিবর্তনের সূচনা সেখান থেকে শুরু করে নাটকের পরিমাণ পর্যন্ত হলো গ্রন্থিমোচন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ইডিপাস নাটকে ইডিপাসের থিবীর রাজা হওয়া পর্যন্ত গ্রন্থিবন্ধন আর রাজা হওয়ার পর যখন দেশে মহামারী দুর্ভিক্ষ নামে এবং কাহিনীতে পরিবর্তন আসে তখন থেকেই গ্রন্থিমোচন পর্ব শুরু শেষ হয় ইডিপাসের করুণ পরিণতিতে।

চ)কাহিনী ও উপকাহিনীঃ

এরিস্টোটল কাহিনীর আলোচনা করতে গিয়ে উপকাহিনীর প্রসঙ্গ এনেছেন এবং তার সঙ্গে কাহিনীর সম্পর্ক নির্ণয় করেছেন।কাহিনি বা প্লট হল নাট্যকারের অভিপ্রেত বিষয়টি যে মূল ঘটনার আধারে প্রকাশ করা হচ্ছে সেই ঘটনা।উপকাহিনী হল মূল ঘটনা নয়- এমন সংক্ষিপ্ত কথাবৃত্ত বা এপিসোড।

ছ)সরল কাহিনী ও জটিল কাহিনীঃ

এরিস্টোটল ট্রাজেডির প্লটকে সরল ও জটিল এ দুই ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমে বলেছেন,যে কাহিনী সরল ক্রিয়ার অনুসরণ করে তা হল সরল প্লট।জটিল ক্রিয়ার অনুসরণ করলে তাকে বলা হবে জটিল প্লট।
তারপর তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, যে ক্রিয়া একক এবং অবিচ্ছিন্ন, ''যার মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে বিপ্রতীপতা এবং উদঘাটন ছাড়াই" তাকেই সরল ক্রিয়া বলা যায় ।

"আর জটিল ক্রিয়া হলো যেখানে অবস্থার পরিবর্তন এবং বিপ্রতীপতা বা উদঘাটন কিংবা উভয়েই উপস্থিত।"


জ)কোরাসঃ

গ্রিক ট্রাজেডি তে কোরাস প্লট এর অন্যতম এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল। এরিস্টটলের পোয়েটিকসে কোরাস সম্পর্কে বেশি কিছু বলেননি। কারণ গ্রিক ট্রাজেডি তে কোরাসের ভূমিকা ছিল স্বতঃসিদ্ধ। অষ্টাদশ পরিচ্ছেদের একেবারে শেষে কয়েকটি বাক্যে কোরাস সম্পর্কে সামান্য কয়েকটি কথা তিনি বলেছেন।আমরা সেগুলি নিয়ে আলোচনা করব।



কোরাস হল গ্রিক নাটকের আদি উৎস। ট্রাজেডির উদ্ভবের ইতিহাস থেকে জানা যায়, দেবতার উৎসবে অনেক লোক একসঙ্গে মুখোশ পরে নৃত্যগীত করতো এবং শোভাযাত্রা করতো।এই সমবেত নৃত্যগীতের শিল্পীরাই ট্রাজেডিতে কোরাসে পরিণত হয়।প্রত্যেক গ্রিক ট্রাজেডি তে প্রধান সক্রিয় চরিত্রগুলি ছাড়াও থাকতো একদল মানুষ যারা নাট্যক্রিয়ার মাঝে মাঝে সমবেতভাবে নাটকের মূলভাবটি ব্যাখ্যা করে দিত। অবশ্যই এই ব্যাখ্যা হতো নাটককারের অভিপ্রায় অনুসারে কখনো কখনো কোরাস সংলাপেও অংশ গ্রহণ করত। ইসকাইলাস ও সফোক্লিসের ট্রাজেডিতে নগরের প্রবীণেরা থাকতো কোরাস এর ভূমিকায়।



সুতরাং বলা যায় যে,ট্রাজেডির কাহিনীর অধ্যায়টি এরিস্টটল খুবই গুরুত্বের সাথে আলোচনা করেছেন

কোন মন্তব্য নেই

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.