সাবজেক্ট রিভিউ: ইংরেজি বিভাগ

 সাবজেক্ট রিভিউ : ইংরেজি বিভাগ

 

 

সাবজেক্ট রিভিউ: ইংরেজি বিভাগ


 ইংরেজি বিভাগে কি পড়ানো হয় 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির শুরু থেকে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী এই ইংরেজি বিভাগ। যারা আর্টস নিয়ে পড়াশুনা করে তাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে এই ইংরেজি বিভাগকে ঘিরে। অথচ আমরা অনেকে এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তির আগে জানিও না যে এখানে আসলে কোন ধরনের কোর্স পড়ানো হয়,আমি নিজেই জানতাম না যে এটা সাহিত্য,ভাষা নয়।

আসলে ইংরেজি বলতে আমরা যা বুঝি তা থেকে ইংরেজি সাহিত্য অনেক অনেক আলাদা। এই সাহিত্যকে যদি আপনি ভালোবাসতে পারেন দেখবেন সাহিত্য কতটা সমৃদ্ধ, পুরোপুরি রসে ভরপুর। আপনি যদি মন খুলে সাহিত্যকে গ্রহণ করতে পারেন আপনার জীবন দর্শন পাল্টে যেতে পারে,আপনার চিন্তাধারায় আসবে আমুল পরিবর্তন।  এই দেশ,সমাজ,পকৃতি; সর্বপরি মানুষ এবং মানবতা সম্পর্কে থাকবে অগাধ জ্ঞান।


ইংলিশ ডিপার্ট্মেন্টে পড়ে ক্যারিয়ার কি

ইংরেজিতে পড়ে আপনি হতে পারেন সাহিত্যিক, হতে পারেন সাংবাদিক, হতে পারেন মুক্তমনা রাজনীতির বিশ্লেষক।  আপনার ইচ্ছে যদি বিসিএস থাকে তাহলে ইংরেজি বিভাগ আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখতে পারে। লিখিত পরীক্ষায় ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং- এ এখানের স্টুডেন্টরা সবথেকে এগিয়ে, কারন এই কোর্সগুলো করানো হয়। প্রিলিতেও সাহিত্য অংশে সবাই যখন কলম কামড়ায় তখন এরা হালকা করে একটা কোপ দিয়ে আসে পরীক্ষায়।  শিক্ষা ক্যাডারে প্রতি বিসিএসে ইংরেজির জন্য অনেক পোস্ট থাকে যার অধিকাংশই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে হয়। এছাড়াও পুলিশ, প্রশাসন, ফরেইন সহ বিভিন্ন ক্যাডারে প্রতি বিসিএসেই শুধু ঢাবির ইংরেজি থেকে ২৫-৩০ জন চান্স পায়। আপনি হতে পারেন বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।  স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারেন বিদেশে। সবদিকে আপনার জন্য রয়েছে সুযোগ আর সুযোগ।

এই ডিপার্টমেন্টে এসে আপনি পেতে পারেন কিছু জোশ জোশ সিনিয়র যারা বন্ধুসুলভ এবং অনেক হেল্পফুল। এছাড়াও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে নিজের বিকাশ ঘটাতে রয়েছে কৃষ্ণচূড়া নামক সংগঠন যেটা ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র-জুনিয়রদের মেলবন্ধন হিসাবে কাজ করে।

আপনি যদি ডিপার্টমেন্টকে ভালোবাসতে না পারেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যে এই ডিপার্টমেন্ট আপনার কাছে হবে " ডিপার্টমেন্ট অব ফ্রাস্ট্রেশন "। যদি ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত না হোন তাহলে ডিপার্টমেন্টের তালে তালে আপনি নিজেও হারিয়ে যাবেন, হারিয়ে যেতে পারেন ডিপ্রেশন নামক মহাসাগরে।

এখানে আসলে প্রচুর পড়তে হবে বিষয়টা এমন না, তবে নিয়মিত হতে হবে। এখানে কোনো প্রক্সি সিস্টেম নাই, তাই ফাঁকিবাজ শিক্ষার্থীরা দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। বাউন্ডুলে ছেলেগুলো তালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। অনেক ফাঁকিবাজ স্টুডেন্ট এখান থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে বের হতে পারেনি।

এখানে এসে শেক্সপিয়ারের সনেটগুলোতে যেমন প্রেম খুজে পাবেন,তেমনি তার ম্যাকবেথে ট্রাজেডি খুজে পাবেন। সামনে আসবে ৩০০০-৪০০০ লাইনের একটা একটা কবিতা যেগুলো কবি'রা গাঁজা খেয়ে লিখেছেন তবে আপনাকে অবশ্যই গাঁজা না খেয়ে ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে। এগুলোতে খুজে পাবেন বাস্তবতা,সামাজিকতা, রোমান্টিকতা এবং সামাজিক অবক্ষয়ও।

সবথেকে বড় সুবিধা যেটা সেইটা হচ্ছে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সপ্তাহে সবথেকে কম ক্লাস হয় ইংরেজি বিভাগেই।

আর তার থেকেও বড় সুবিধা হচ্ছে 'ঢাকা শহরের সব টিউশন ইংরেজির পোলাপানের'।

আমি কোনো বিখ্যাত ব্যাক্তির উদাহরণ টানলাম না। কারন যে ডিপার্টমেন্ট সৃষ্টির শুরু থেকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে আসছে তার বিখ্যাত ব্যাক্তির নামের লিস্ট এবং তাদের বর্ণনা এরকম একটা পোস্টে লিখে প্রকাশ করা অনেক সময়ের ব্যাপার।

Regarding

Shakil Reza, English (2016-2017)

University of Dhaka


ইংরেজি সাবিজেক্ট নিয়ে কেন পড়বেন 

কোন মন্তব্য নেই

Barcin থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.