আরবি চিঠিপত্র কাকে বলে কত প্রকার কি কি এবং আরবিতে চিঠিপত্র লেখার নিয়ম বিস্তারিত
আরবি চিঠিপত্র কাকে বলে ? আরবিতে চিঠিপত্র লেখার নিয়ম।
আসসালামু আলাইকুম ! আশা করি সবাই ভালো আছেন । আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করেছি আরবিতে কীভাবে ব্যাবসায়িক চিঠি, ব্যক্তিগত চিঠি, আরবি অভিনন্দন চিঠি। ইত্যাদি সব ধরনের চিঠি লেখার নিয়ম। সাথে আরবি চিঠি কত প্রকার ও কি কি। আরবি চিঠি মেডিয়ায়াতে ব্যবহৃত পরিভাষা। Arabic for business purposes. অফিসিয়াল চিঠিপত্র লেখার নিয়ম। এখানে পার্ট-১ লেখা হয়েছে । পার্ট-২ পেতে শেষের লিংক দেখুন।
আরবি চিঠি কাকে বলে?
চিঠির সংজ্ঞা:
المراسلات هي وسيلة مكتوبة تتم بين أشخاص عاديين أو معنويين بأية وساطة من الوسائط الموجودة لنقل آراء أو أفكار أو عروض أو عقود أو تهنئة أو تعزية
“চিঠিপত্র বলতে বুঝায় একটি লেখার মাধ্যম যা সাধারণ বা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের মাঝে বিদ্যমান যে কোনো একটি উপায় ব্যবহার করার মাধ্যমে মতামত, চিন্তা, চুক্তিপত্র, অভিনন্দন, সান্ত্বনা প্রভৃতি আদান-প্রদানের কাজে ব্যবহার করা হয়।”
চিঠিপত্রের বিকাশ সুপ্রাচীনকাল থেকে ছিল। লোকে একে অপরকে বিভিন্ন প্রয়োজনে চিঠি লিখত। প্রাচীন রাজারা যুদ্ধ-শান্তি-ব্যবসাসহ বিবিধ উদ্দেশ্যে চিঠিপত্র ব্যবহার করত।
তখন চিঠিপত্র নিয়ে যেত রানার (Runner), ঘোড়সওয়ার বা কবুতর পাখির মাধ্যমে। অথবা জল/স্থল/আকাশ পথে চিঠি প্রেরিত হত। কিন্তু আজ সেই চিঠিপত্রে আদান-প্রদান হয় তার ও বেতার ব্যবস্থায়। তার ব্যবস্থার উদাহরণ: টেলিগ্রাম, টেলিফোন। বেতার ব্যবস্থার উদাহরণ: ফ্যাক্স, মোবাইল, ইন্টারনেট, ইমেইল, ফেসবুক, টুইটার, স্কাইপি, ওয়াট্সএপ, ইমো প্রভৃতি।
আরবি চিঠিপত্রের প্রকারভেদ
আরবি চিঠিপত্র তিন প্রকার:
১/ব্যক্তিগত চিঠিপত্র الرسائل الشخصية :
এ সব চিঠিপত্রের আদান-প্রদান হয় পরিবার-পরিজনের মাঝে কিছু সামাজিক উপলক্ষকে কেন্দ্র করে। যেমন: ঈদের শুভেচ্ছা, কোনো সুসংবাদ, পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন, ব্যক্তিজীবনের অবস্থার ব্যাপারে নিশ্চয়তা গ্রহণ প্রভৃতি। এছাড়াও সান্ত্বনা প্রদানের জন্যও এ প্রকার চিঠি ব্যবহার করা হয়।
এ সব চিঠিপত্রের আদান-প্রদান হয় পরিবার-পরিজনের মাঝে কিছু সামাজিক উপলক্ষকে কেন্দ্র করে। যেমন: ঈদের শুভেচ্ছা, কোনো সুসংবাদ, পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন, ব্যক্তিজীবনের অবস্থার ব্যাপারে নিশ্চয়তা গ্রহণ প্রভৃতি। এছাড়াও সান্ত্বনা প্রদানের জন্যও এ প্রকার চিঠি ব্যবহার করা হয়।
২/ব্যবসায়িক চিঠিপত্র الرسائل التجارية :
এগুলো ব্যবসায়ীদের মাঝে অথবা ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে আদান-প্রদান হয়।
এগুলো ব্যবসায়ীদের মাঝে অথবা ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মাঝে আদান-প্রদান হয়।
৩/সরকারী চিঠিপত্র الرسائل الحكومية:
এ ধরনের চিঠিগুলো যে কোনো সরকারী সংগঠন বা অফিস থেকে অন্য যে কোনো সাধারণ বা বিশেষ ব্যক্তি বা অনানুষ্ঠানিক কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়।
এ ধরনের চিঠিগুলো যে কোনো সরকারী সংগঠন বা অফিস থেকে অন্য যে কোনো সাধারণ বা বিশেষ ব্যক্তি বা অনানুষ্ঠানিক কাউকে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়।
আরবি ব্যবসায়িক চিঠির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
ব্যবসায়িক চিঠিগুলো ব্যবসায়ীদের মাঝে অথবা ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গণ্য। এর কার্যক্রম নিম্নরূপ:
১. চুক্তির আইনী দলীল। দুজন ব্যবসায়ীর মাঝে যখন চুক্তি হয় এবং তা নিয়ে পরবর্তীতে কখনো যদি দ্বন্দ্ব হয় তাহলে চিঠি কাজ করবে আইনী দলীলের ভূমিকায়।
২. ব্যবসায়ীদের মাঝে ভাল সম্পর্ক। এটা ব্যবসায়ীদের মাঝে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে কেননা ব্যক্তিগত যোগাযোগের স্থলাভিষিক্ত এই চিঠি।
৩. ব্যবসায়িক বিনিময় কাজে সহজতা। এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক আদান-প্রদান সহজতর হয়, ফলে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে কোনো প্রকার ব্যক্তিগত সাক্ষাত বা পূর্ব-পরিচয় ছাড়া ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যায়।
৪. সময়, শক্তি ও অর্থের সাশ্রয়। যারা চুক্তি করছেন, তাদের মাঝে যদি দুরত্ব বেশি হয় তাহলে এই চিঠি একই সাথে সময়, শক্তি ও অর্থের সাশ্রয় করে।
৫. স্বাধীনভাবে চিন্তা ও পণ্য পেশ করার সুযোগ। সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য পেশ করা ও চিন্তা করার স্বাধীনতা আসে। কোনো কৃত্রিমতা ও সংকীর্ণতা ছাড়া দর কষাকষি করার সুযোগ খুলে যায়।
৬. সংযুক্তি প্রেরণ। চিঠির সাথে বেশ কিছু বিষয় সংযুক্ত করা যায় যেমন: ক্যাটালগ, মূল্য তালিকা প্রভৃতি।
আরবিতে ব্যবসায়িক চিঠিপত্র কাকে বলে
هي الرسائل التي يتم تبادلها بين التجار أنفسهم أو بين التجار والمؤسسات الحكومية أو الأهلية
“ব্যবসায়ীদের মাঝে বা ব্যবসায়ীদের সাথে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের যে চিঠি আদান-প্রদান হয় তার নাম ব্যবসায়িক চিঠি।”
ব্যাবসায়িক চিঠি কত প্রকার ও কি কি
ব্যবসায়িক চিঠিকে দু রকম বিভাজন করা যায়।
এক. মুখ্য ভাগ الأجزاء الرئيسية
ব্যবসায়িক চিঠির যে অংশগুলো না থাকলেই নয় সেগুলো মুখ্য ভাগের আওতায় পড়ে। সেই ভাগসমূহ হল:
- الترويسة (শিরোনাম)
- الرقم (নাম্বার)
- التاريخ (তারিখ)
- اسم وعنوان المرسل إليه (প্রাপকের নাম-ঠিকানা)
- التحية الافتتاحية (সূচনামূলক অভিবাদন)
- الموضوع (বিষয়)
- التحية الختامية (সমাপ্তিসূচক অভিবাদন)
- التوقيع (সাক্ষর)
- الرموز (চিহ্ন/প্রতীক)।
দুই. গৌণ ভাগ الأجزاء الثانوية
ব্যবসায়িক চিঠিপত্রের যে অংশগুলো থাকুক না বা থাকুক, চিঠি অপূর্ণাঙ্গ বলে গণ্য হবে না সেগুলো চিঠির গৌণ ভাগে পড়ে। এগুলো হল:
إشارة المرسل إليه (প্রাপকের প্রতি ইঙ্গিত)
المرفقات (সংযুক্তি)
النسخ الكربونية(কার্বন কপি)।
আরবি ব্যবসায়ীক চিঠির মুখ্য ভাগসমূহের বর্ণনা
এক. শিরোনাম।
এটা হলো চিঠির পৃষ্ঠার উপরের অংশ যেখানে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম, কাজের ধরন, ফোন নাম্বার, মেইল, ফ্যাক্স, টেলিগ্রাফিক ঠিকানা, লগোসহ অন্যান্য শাখাগত বিষয়ের নাম থাকে। এ তথ্যগুলো কেবল আরবী বা ইংলিশ ভাষায় সুন্দরভাবে সাজানো থাকে। কখনো সেটা লম্বভাবে, কখনো বা ভিতরে প্রবিষ্ট করে। কিছু প্রতিষ্ঠান ছাপার কাগজ থেকে উপকৃত হয় যেহেতু ঐ শিরোনামের কিছু অংশ ছোট করে কাগজের নিচে লেখা হয়। শিরেনামের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো হলো:
ব্যবসায়িক নাম (الاسم التجاري):
যে নামে প্রতিষ্ঠানকে চেনা যায়। এটা ঐতিহাসিক, প্রত্নতাত্ত্বিক, প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন, উত্তম কোনো গুণের নাম, বর্তমান বা অতীতের কোনো নেতার নামে হতে পারে।
টেলিগ্রাফিক ঠিকানা (العنوان البرقي):
এটা সংক্ষিপ্ত একটা শিরোনাম যা প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম বা কাজের নাম থেকে কিছু অক্ষর নিয়ে করা হয়। এতে সংযুক্ত করে দেওয়া হয় মূল শহরের নামও।
প্রতীক (شعار):
এটা মানুষ, পশু, উদ্ভিদ বা জড়বস্তুর চিত্র যা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে থাকে, আবার চিঠিপত্রের খাতায়ও থাকে।
ব্যবসায়িক রেজিস্ট্রির নাম্বার (رقم السجل التجاري):
এটা হলো সেই সংখ্যা যা বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বা পৌরসভার ব্যবসায়িক তালিকা করার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি প্রদান করে প্রতিষ্ঠানের মালিককে (তার প্রতিষ্ঠানের জন্য)।
দুই. সংখ্যা/ইঙ্গিত/সূত্র।
এটা একটা সংকেত যা প্রেরক তার চিঠিতে লিখে থাকেন। এখানে সংকেতটা প্রতিষ্ঠানের প্রথম হরফের দিকে ইঙ্গিত করে। আবার চিঠির নাম্বারের দিকেও ইশারা করে। সংখ্যা বা সংকেত চিঠিতে লেখা হয় যেহেতু সহজে তা ফাইলে সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনে ফিরে পাওয়া যায়। এই সংখ্যা থাকে চিঠির ডান দিকের উপরের অংশে।
তিন. তারীখ।
যে সময় চিঠি ইস্যু হয় তাকে তারিখ বলে। এখানে মাসের নাম ছাড়া শুধু সংখ্যা লেখা হতে পারে। (যেমন: ৩১/০১/১৮) কখনো মাসের নামসহ লেখা হয়। (যেমন: ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮) কেননা কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো মাস লেখার ক্ষেত্রে আমেরিকান সিস্টেম অনুসরণ করে। আবার কিছু আছে যেগুলো ব্রিটিশ সিস্টেমে সংখ্যা লেখে। এ তারিখ লেখা হয় চিঠির ডানে বা বামে, সেটা নির্ভর করে কোন বিন্যাস বা কাঠামো অনুসরণ করা হল সেটার উপর।
চার. প্রাপকের নাম-ঠিকানা।
যে প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হবে তার নাম। আদর্শ চিঠি হবে যদি প্রথমে থাকে প্রাপকের নাম, তারপর ডাকবাক্স, তারপর শহর, পোস্ট অফিসের নাম্বার ও দেশের নাম থাকলে।
পাঁচ. সূচনামূলক সম্ভাষণ।
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপকের নামের নিচে ডান দিকে লেখা হয়। এটা সাধারণত এমন হয়: تحية طيبة وبعد (উত্তম অভিবাদন, অতঃপর) بعد التحية (অভিবাদনের পর) تحية واحتراما (অভিবাদন ও সম্মান জানিয়ে)। [এর সাথে সূচনামূলক বাক্যের পার্থক্য করতে হবে]
ছয়. সূচনামূলক বাক্য।
যে বাক্যের মাধ্যমে চিঠির বিষয়বস্তুর সূচনা ঘটে। এটা বিষয়বস্তুর জন্য জরুরী ভূমিকা। যেমন আমরা বলতে পারি: بالإشارة إلى خطابكم رقم... تاريخ... (আপনাদের এত নাম্বার ও এত তারিখের পত্রের দিকে ইঙ্গিত করে)।
সাত. মূল বিষয়।
এটা চিঠির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাধারণত একটি ব্যবসায়িক পত্রের একটা বিষয় থাকে এক পৃষ্ঠায়। সে বিষয়টা তিনটি অনুচ্ছেদে বিভক্ত থাকে।
প্রথম অনুচ্ছেদ: ভূমিকা ও শুরুর কথা।
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ: চিঠির মূল বক্তব্য।
তৃতীয় অনুচ্ছেদ: চিঠির সারকথা।
আট. সমাপ্তিসূচক অভিবাদন।
এটা সর্বশেষ বাক্য যার মাধ্যমে চিঠির বিষয়বস্তুর ইতি টানা হয়। এটা সাধারণত এ রকম হয়:
سنقدر لكم تعاونكم معنا (আমাদের প্রতি আপনাদের সহযোগিতা আমরা সম্মানের চোখে দেখব)
سيكون ردكم السريع على التعاون (আপনাদের ত্বরিত জবাবটা সহযোগিতাস্বরূপ হবে)
নয়. স্বাক্ষর।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই চিঠিতে স্বাক্ষর করতে হবে। সেখানে তার নাম স্পষ্ট অক্ষরে লেখার সাথে স্বাক্ষর ও চাকুরির নামও লিখতে হবে।
আরবি ব্যবসায়ীক চিঠির গৌণ ভাগসমূহ
প্রাপকের প্রতি ইঙ্গিত।
একটি সংখ্যা বা সংকেত যার মাধ্যমে চিঠির পাঠককে পূর্বের চিঠির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এটা ছাড়াও চলে, যেহেতু তা চিঠির প্রারম্ভে সূচনামূলক বাক্যে উল্লেখ করা থাকে, যেমনটা ইতঃপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে।
মন্তব্যের লাইন। এটা সংযুক্ত করার উদ্দেশ্য হল চিঠির বিষয়বস্তু যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির প্রতি প্রেরিত হয়েছে, তাকে উদ্দেশ্য করা। প্রাপকের ঠিকানার পর সরাসরি তা লেখা হয়।
চিঠির বিষয়বস্তু। এটি মাত্র কয়েক শব্দে গঠিত বাক্য যা চিঠির মূলকথা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করে। সাধারণত সূচনামূলক অভিবাদনের পর লেখা হয় যাতে চিঠির মূল আলোচনার সাথে সম্পৃক্ত হয়।
সংযুক্তি। এটা হচ্ছে কতিপয় কাগজপত্র ও দলীল যেগুলো চিঠির সাথে একই খঅমে পাঠানো হয়। যেমন: ক্যাশ মেমো, চেক প্রভৃতি। এটা চিঠির নিচে ডানদিকে স্বাক্ষরের পর উল্লেখ করা হয়। এটা এভাবে লেখা হয়:
مرفقات (সংযুক্তি)
১. চেক ২..... ৩......
আরবিতে কীভাবে একটি সফল চিঠি লিখবেন এর বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. গঠনের উপাদানসমূহ। তার মাঝে রয়েছে:
কাগজ, অনুচ্ছেদ-টীকা-দুরত্বের বিন্যাস, খাম, সংখ্যার চিহ্ন, অংশসমূহের বিন্যাস।
২. চিঠি লেখকের যোগ্যতা। লেখককে জানতে হবে:
ভাষা, বিষয়বস্তু, ব্যবসায়িক কাজের দক্ষতা।
৩. বিষয়বস্তুর উপাদানসমূহ। যেমন: স্পষ্টতা, সংক্ষেপণ, ব্যাপকতা, বিচক্ষণতা।
গঠনের উপাদানের মাঝে আমরা গুরুত্ব দিব খামকে।
খাম দুই প্রকার।
১. সাধারণ খাম। (المغلفات العادية)
২. স্বচ্ছ খাম। (المغلفات الشفافة)
- প্রথমত:
সাধারণ খাম বেশ কয়েক প্রকার। তা বড়-ছোট হয়ে থাকে চিঠির আকৃতির রকমফের অনুযায়ী। কিছু আকাশ মাধ্যমে ডাক প্রেরণের জন্য বরাদ্দ। কিছু সাধারণ স্থানীয় ডাকবিভাগের জন্য। আবার কিছু আছে সাদা যার পাশগুলো রঙিন করা। এগুলো সাধারণ কাজে ব্যবহার করা হয় আবার আনুষ্ঠানিক কাজেও ব্যবহার করা হয়। খামের বামদিকে উপরে প্রেরকের ঠিকানা লেখা হয়। আর ডান দিকে নিচে লেখা হয় প্রাপকের ঠিকানা। উল্লেখ্য, ঠিকানাতে অন্তর্ভুক্ত হবে নাম, ডাক-বাক্স, শহর, ডাক-বাক্সের নাম্বার ও দেশের নাম। উপরের ডান দিকে থাকবে স্ট্যাম্প।
এক প্রকার খাম পাওয়া যায় যা ডাক-অফিসে বিক্রি হয়। এগুলো কেবল চিঠি লেখার জন্য বরাদ্দ। বেশ শৈল্পিক পদ্ধতিতে তা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপর কোনো প্রকার স্ট্যাম্প না লাগিয়ে তা পাঠানো হয়। কেননা এর মূল্যটা খামের উপরিভাগে থাকা স্ট্যাম্পের মূল্যকে অন্তর্ভুক্ত করে।
- দ্বিতীয়ত:
স্বচ্ছ খাম। এই খামের উপরে গোল বা লম্বা আকারে স্বচ্ছ খাম থাকে। এর ভেতরে ব্যবসায়িক চিঠি বেশ শৈল্পিক পদ্ধতিতে ঢুকানো হয় যেখানে কেবল প্রাপকের নাম-ঠিকানা দেখা যায়। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও আধুনিক শপিংমলে এটা অনেক বেশি ব্যবহৃত হয়।
এর সুবিধা হলো:
- ১- খামের উপরে নাম-ঠিকানা লেখা লাগে না। সময়-কষ্ট বাঁচে।
- ২- ভুলে কারো চিঠি অন্য খামে ঢুকে যায় না।
- ৩- যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায় সব খাম ব্যবহার করা যায়।
- ৪- একই খাম প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখার মাঝে একাধিকবার ব্যবহার করা যায়।
কোন মন্তব্য নেই