আসমায়ে মাজরুরাত কাকে বলে? কয়টি ও কি কি? আরবিতে কখন যের হয়? যের ছাড়া আরবি পড়বেন কীভাবে?
আসমায়ে মাজরুরাত কাকে বলে? কয়টি ও কি কি? আরবিতে কখন যের হয়? যের ছাড়া আরবি পড়বেন কীভাবে?
আসসালামু আলাইকুম!
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমরা আরবি ২য় পত্রের ইলমে নাহু অংশের নতুন একটি বিশেষ বিষয়ে আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ। তা হচ্ছে আরবিতে কখন যের যের হয়। ইতোমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি আরবিতে কোথায় যবর হয় এবং কোথায় পেশ হয়। তাহলে চলুন আমরা মূল আলোচনায় চলে যাই।
আরবিতে কোথায় যবর হয় বা কোন কোন ইসম বা নাম পদের শেষে যবর হয় তা জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন।
আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে আসমায়ে মাজরুরাত কাকে বলে এবং তা কয়টি ও কি কি। তবে আমরা জানতে পারব কত স্থানে যের হয় এবং কেন হয়?
আসমায়ে মাজরুরাত এর পরিচয়
আসমা মানে ইসমসমূহ বা নাম পদ সমূহ। আর মাজরুরাত মানে হচ্ছে যের যুক্ত। তাহলে এক শব্দে বলা যায় আসমায়ে মাজরুরাত অর্থ যের যুক্ত ইসমসমূহ।
পরিভাষায় বলা যায়,
আরবিতে যে ইসম বা নাম জাতীয় শব্দ বা কালিমাগুলো যের যুক্ত হয় সেগুলোকে আসমায়ে মাজরুরাত বলা হয়।
আসমায়ে মাজরুরাত বা যেরযুক্ত ইসম না নাম পদ কতটি ও কি কি?
আরবিতে আসমায়ে মাজরুরাত মোট ২টি। তা হচ্ছে,
১) মুদাফ ইলাইহি ( مضاف إلیه)
২)মাজরুর (مجرور)অর্থাৎ হারফে জার এর মাজরুর বা হরফে যার এর পরবর্তী ইসম বা নাম পদটি।
তাহলে বোঝা গেল আরবিতে মাত্র ২টি কারনে যের হতে পারে। উল্লেখিত ২টি স্থান ব্যতীত আরবিতে আর কোথাও যের হবেনা। ( আর একটি স্থানে যের দিয়ে যবর বোঝায় তা হচ্ছে গাইরে মুনসারিফ,যেমন,( مَرَرتُ بِأحمَدَ) তাহলে এই ২টা বিষয় যদি আমরা ভালো করে শিখে নিতে পারি তবে আরবিতে যের দিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না। অর্থাত কোনো আরবি বাক্যে যদি যের না থাকে তাহলে আমরা তা যের দিয়ে পড়তে পারব।
আমরা জানলাম মুদাফ ইলাইহি সর্বদা যের যুক্ত হবে। তাই আমাদের আগে জানতে হবে মুদাফ ইলাইহি কি? মুদাফ মুদাফ ইলাইহি সম্পর্কে Fakhrul Academy নামক আমার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেওয়া আছে সেটা দেখতে পারেন এখানে ক্লিক করে।
মুদাফ বলা হয় যে শব্দকে সম্বন্ধ করা হয় আর যার সাথে সম্বন্ধ করা হয় তাকে বলা হয় মুদাফ ইলাইহি।
কিছু উদাহরণ দেখুন তবে সহজে বুঝতে পারবেন।
যেমন;
আল্লাহর কালাম। کِتابُ اللهِ
আল্লাহর ঘর। کَلامُ اللهِ
খালিদের কলম। قَلَمُ خالِدٍ
জামালের ব্যাগ। حَقِیبَةُ جَمالٍ
বাতির আলো। نُورُ المِصباحٍِ
ঘরের চাবি। مِفتاحُ البَیتِ
কুরআনের আয়াত। اَیة القُرانِ
রাসূলের বাণী। قَولُ الرَّسُول
নবীদের গল্প। قِصَّةُ الأنبِیاء
মানুষের খাবার। طَعامُ الناسِ
এখানে প্রতিটি আরবি বাক্যাংশের শেষ শব্দটি মুদাফ ইলাইহি। আর সবগুলোতে শেষে যের হয়েছে কারণ মুদাফ ইলাইহি সর্বদাই যের যুক্ত হয়।
বিঃদ্রঃ আরবিতে যদি কোনো শব্দের শুরুতে আলিফ লাম থাকে তবে সে শব্দের শেষে হারকাত হয়, কখনো তানবীন হয় না। যেমন; القَلَمُ, الکِتابُ
বাংলায় মুদাফ এবং মুদাফ ইলাইহি এর অর্থ করার সময় মুদাফ ইলাইহি এর অর্থ সাধারণত আগে আসে এবং মাঝে "র" বা "এর" অর্থ থাকে। উপরে উল্লেখিত বাংলা অর্থগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন। আশা করি মুদাফ এবং মুদাফ ইলাইহি সম্পর্কে আর কোনো সমস্যা নেই।
এবার আলোচনায় আসি মাজরুর নিয়ে। মাজরুর মানে হচ্ছে যেরযুক্ত।
আরবিতে কিছু অব্যয় বা বর্ণ বা Preposition আছে যেগুলো ইসম বা নাম শব্দের পুর্বে আসে, ফলে পরবর্তী ইসমটি যের যুক্ত হয়, সে সব বর্ণগুলোকে হারফে যার বলে।
হারফে যার কাকে বলে?
হারফে জার ; যে বর্ণগুলো ইসম বা নাম পদের শুরুতে এসে নাম পদকে যের দেয় সে সব বর্ণ বা অব্যয় পদগুলোকে হারফে যার বলা হয়।
হারফে যার কাকে বলে? হরফে যার কয়টি ও কি কি তা উদাহরণ সহ জানতে এই লেখাটি পড়তে পারেন।
মাজরুর কাকে বলে?
মাজরুর; যে ইসম বা নামের পুর্বে হরফে জার আসে তাকে মাজরুর বা যের যুক্ত নাম/ ইসম বলে।
এবার কিছু উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করি তবে বুঝতে আরো সহজ হবে।
যেমন,
কলমটি ব্যাগের ভিতর। القَلَمُ فی الحََقیِبَةِ
বইটি টেবিলের উপর। الکِتابُ علی الطاوِلةِ
টুপিটি মাথার উপর। القَلَنسُوَةُ عَلی الرِّأسِ
খালেদ মসজিদের ভেতরে। خالِدٌٗ فی المَسجِدِ
ফাতিমা ঘরের ভেতরে। فاطِمَةُ فی البَیتِ
আমি গ্রাম থেকে এসেছি। جِٸتُ مِن القَریةِ
তারা বাড়ি যাবে। یَذهَبُون إلی البَیتِ
ইত্যাদি এরকম আরো অনেক বাক্য হতে পারে। উক্ত বাক্যগুলোতে দেখা যাচ্ছে হরফে যার এর পরের ইসম বা নাম পদটি যের যুক্ত হয়েছে। এরকমভাবে ১৭টি হরফে যার আসতে পারে। আর হরফে জার আসলে চোখ বুঝে পরের ইসম বা নাম পদটি যের দিয়ে পড়তে হবে।
এগুলার উপর ভিডিও দিলে ভালো হবে
উত্তরমুছুনভিডিও দেওয়া আছে, দেখতে এখানে ক্লিক করুন, https://youtu.be/42TQkWt4O5k
মুছুন